ধীমান রায়, কাটোয়া: পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের পর এবার কেতুগ্রামের গঙ্গাটিকুরি। আবারও অজ্ঞাত উৎসস্থল থেকে দুই ব্যাংকের প্রায় চারশো অ্যাকাউন্টে ঢুকল মোটা অঙ্কের টাকা৷ কারও অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে সাড়ে তিন হাজার টাকা। কারও অ্যাকাউন্টে ২৫ হাজার। আর এই ঘটনা জানাজানি হতেই গঙ্গাটিকুরির ওই দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের শাখায় পড়েছে টাকা তোলার হিড়িক। স্থানীয়দের ধারনা, প্রধানমন্ত্রীর জন ধন যোজনা প্রকল্প থেকেই এই টাকা তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে।
[বিস্ফোরক তৃণমূলের দুই বহিষ্কৃত সাংসদ, লঙ্কাকাণ্ড বাধানোর হুমকি সৌমিত্রর ]
গত সপ্তাহে একইভাবে আউশগ্রামের একটি ব্যাঙ্কের প্রায় ১৫০টি অ্যাকাউন্টে মোটা অংকের টাকা ঢুকেছিল। লোকসভা নির্বাচনের সময় বিদেশ থেকে কালো টাকা আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই কারণে তিনি পুরানো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করেছিলেন৷ জানিয়েছিলেন, কালো টাকা উদ্ধারের পর দেশের প্রতিটি নাগরিকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে জমা করবে কেন্দ্রীয় সরকার৷ কিন্তু, এখনও তা হয়নি৷ কেতুগ্রামের দুটি ব্যাংকের চারশো অ্যাকাউন্টে এই অজ্ঞাত টাকা ঢুকতেই, মানুষের মনে প্রশ্ন জাগতে শুরু করেছে, ‘তবে কি প্রধানমন্ত্রীর কথা সত্যি হতে শুরু করেছে?’
[গঙ্গাসাগরে মৃত্যু, স্নান করতে যাওয়ার পথে প্রাণ হারালেন এক পূণ্যার্থী]
কেতুগ্রামের এক রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের শাখার ম্যানেজার দেবব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা জেনেছি যে গত ১১ জানুয়ারি আমাদের ব্রাঞ্চে ২১০ জনের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। কোথা থেকে ওই টাকা জমা পড়ল, এর কোনও তথ্য আমাদের কাছে নেই। শুধু উল্লেখ রয়েছে ‘এআইসি’ থেকে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে টাকা ক্রেডিট হয়েছে। সম্ভবত, এগ্রিকালচার ইনসিওরেন্স কোম্পানি থেকে টাকা ঢুকতে পারে।” একই কথা বলেছেন গঙ্গাটিকুরির রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের শাখার ম্যানেজার ধর্মরাজ মণ্ডল। স্থানীয়দের একাংশ জানিয়েছেন, এই টাকা কৃষি বিমার৷ একসময় যাঁরা এই বিমার আবেদন করেছিলেন, তাঁরাই এই টাকা পাচ্ছেন। তবে যে সমস্ত প্রাপকদের জমিজমা নেই, তাঁদেরও অ্যাকাউন্টে টাকা এলো কীভাবে সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.