কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: মুর্শিদাবাদে মারণ গেম মোমোর বলি যুবক। অভিযোগ, মোমোর জন্যই আত্মঘাতী হয়েছেন মৃতের নাম দীপঙ্কর মণ্ডল(২২)। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলতে দেখেন পরিবারের লোকজন। তড়িঘড়ি থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। খুনের কারণ অনুসন্ধানের জন্য মৃত যুবকের ল্যাপটপ ও মোবাইলটি আটক করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায়।
এদিকে সুস্থ সবল ছেলের এই আত্মহননের ঘটনায় হতবাক পরিবার। অভিভাবকদের দাবি, মারণ গেম মোমোর জেরে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন দীপঙ্কর। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই মনমরা ছিলেন তিনি। কারওর সঙ্গে কথা বলা দূরে থাক, ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়াও করছিলেন না। এনিয়ে বেশ কয়েকবার মা জানতে চাইলেও কিছুই বলেননি দীপঙ্কর। সকালবেলা অনেক ডাকাডাকিতেও ছেলের উত্তর পাননি ওই গৃহবধূ। দোতলায় গিয়ে দেখেন নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন দীপঙ্কর।
মৃত যুবকের মামা সনাতন বিশ্বাস জানিয়েছেন, ভাগ্নের কোনও বদ নেশা ছিল না। বন্ধুদের সঙ্গেও কোনও গোলমাল হয়নি। ব্যবসার কাজ দেখার পাশপাশি সারাদিন মোবাইল ও ল্যাপটপেই বুঁদ হয়ে থাকত। সম্ভবত মোমো গেমের কারণেই সে আত্মঘাতী হয়েছে। মামার বক্তব্যে সায় দিয়েছেন কাকা রামপ্রসাদ মণ্ডল।
জানা গিয়েছে, মণ্ডলবাড়ির একমাত্র ছেলে দীপঙ্কর। স্বচ্ছল পরিবারে অভাবের লেশ মাত্র ছিল না। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর বাবা দিলীপ মণ্ডলের কাপড়ের ব্যবসা দেখতে শুরু করেন ওই যুবক। একমাত্র বোন বেঙ্গালুরুতে ডাক্তারি পড়ছে। সেখানেই গিয়েছেন দিলীপবাবু। এমতাবস্থায় ছেলের মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল গোটা পরিবার। এদিকে মোমোর কারণে মৃত্যুর ঘটনা মানতে নারাজ পুলিশ। পুলিশের দাবি, প্রেমঘটিত বিষয়ে আঘাত পেয়ে থাকতে পারেন ওই যুবক। সেকারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন। যদিও পুলিশের সৃষ্ট কারণকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে পরিবারের দাবি, দীপঙ্করের মৃত্যুর জন্য দায়ী মারণ গেম মোমো। প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.