ছবি: রঞ্জন মাইতি।
চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে মোমোর উঁকি এবার ফেসবুকে। দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রকে ফেসবুকে ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট’ পাঠাল মোমো। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে। ওই ছাত্রের নাম তুহিনশুভ্র আগুয়ান। ইতিমধ্যেই মহিষাদল থানায় অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি ইমেলে ভবানী ভবনের সাইবার সেলেও বিষয়টি জানিয়েছে সে। গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত তার পরিবার।
এই প্রসঙ্গে তুহিনশুভ্র জানিয়েছে, দিন ১৫ আগে প্রথম তার হোয়াটসঅ্যাপে এক উদ্ভট নম্বর থেকে মারণখেলা মোমোর রিকোয়েস্ট আসে। প্রথমটায় ঘাবড়ে গেলেও সঙ্গেসঙ্গেই সেই রিকোয়েস্টের বার্তাটি স্ক্রিনশট তুলে রাখে। তবে পালটা উত্তর না দিলেও দ্বিতীয়বার বার্তটি দেখতে গিয়ে আর তার সন্ধান পায়নি ওই পড়ুয়া। তুহিনশুভ্রর আরও একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর রয়েছে। সেখানেও একই নম্বর থেকে মোমো গেমের বার্তা আসে। সেটিরও স্ক্রিনশট তুলে রাখে ওই ছাত্র। তবে ততদিনে মোমো গেম নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের খবরগুলি তার নজরে এসেছে। তাই ওই উদ্ভট নম্বরটিকে ব্লক করে দিতে সময় নেয়নি তুহিনশুভ্র। এই ঘটনার পর স্থানীয় মহিষাদল থানায় অভিযোগও জানান তার অভিভাবকরা। তবে পুলিশের তরফ থেকে জেলার সাইবার দপ্তরে বিষয়টি জানানোর কথা বলা হয়। এরপর থেকে নির্ভাবনায় ছিল সে। এদিকে সামনে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বলে বিষয়টি নিয়ে আর মাথা ঘামায়নি ওই ছাত্র। দিনদুয়েক আগে ফেসবুক ঘাঁটতে গিয়েই তার চোখ কপালে ওঠে। দেখে বেশকিছু সহপাঠীর পাশাপাশি তাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছে মোমো। প্রথম ভেবেছিল ভুল দেখছে। তারপর আতঙ্কিত হয়ে পড়ে কিশোর। সঙ্গেসঙ্গে রিকোয়েস্টের একটা স্ক্রিনশট তুলে রাখে। বা-মাকে বিষয়টি জানানোর পর ফেসবুক থেকে ওই রিকোয়েস্টই ডিলিট করে দেয়। এরপর বাবা সুদীপ্ত আগুয়ান ও মা কল্পনাদেবীর সঙ্গে এদিন সকালে মহিষাদল থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে। তারপর ইমেলের মাধ্যমে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম দপ্তরেও অভিযোগ জানায় তুহিনশুভ্র।
[কাটা হাত নিয়ে রাতভর রাস্তায় ঘুরলেন শ্রমিক, অবশেষে ভরতি নার্সিংহোমে]
এই ঘটনায় বেশ আতঙ্কিত মা কল্পনাদেবী। তবে চিন্তা থাকলেও আতঙ্কিত নন পেশায় সাংবাদিক বাবা সুদীপ্ত আগুয়ান। তিনি চান এসব মোমোর আতঙ্ক সরিয়ে ছেলে পড়াশোনায় মন দিক। সামনেই তার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। যদিও তুহিনশুভ্র কিন্তু বেশ বিরক্তই হয়েছে। ফেসবুকে মোমোর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টটি ভুয়ো বলেই মনে করছে সে। পরীক্ষার আগে পড়াশোনা থেকে তার নজর ঘোরাতে কেউ এসব করছে। এমনটাই মত ওই ছাত্রের। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.