ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: দেশজোড়া কোভিড সংকট। তার মধ্যে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জ্বালানির মূল্য। এই পরিস্থিতিতে এমন অনিয়ন্ত্রিত মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হল তৃণমূল। মঙ্গলবার দফায় দফায় টুইট করতে থাকে তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) অভিযোগ, “নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) প্রথমে রেকর্ড মাত্রার বর্ধিত শুল্ক চাপিয়ে কম দামে জ্বালানি পাওয়ার সুযোগ মানুষের থেকে ছিনিয়ে নিলেন। এবার যখন তেলের দাম বাড়ল, দুর্ভাগ্যজনকভাবে তার কষ্টটাও মানুষের দিকে ঠেলে দিলেন।” এর সঙ্গেই হ্যাশট্যাগ দিয়ে ‘মোদিবাবু, পেট্রল বেকাবু’ নামে একটি নতুন স্লোগান তুলেছে তৃণমূল।
মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত টানা জ্বালানির দাম বেড়েছে। পেট্রল লিটার প্রতি ৮১ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে মঙ্গলবারই। গত তিন মাসে দাম বেড়েছে ১১ শতাংশ। ডিজেল ১৩ শতাংশ দাম বেড়ে গত তিন মাসে ৭৪ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে পেট্রলের উপর কেন্দ্রের চাপানো শুল্ক ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ডিজেলের ক্ষেত্রে বেড়েছে ১০১ শতাংশ। এই পরিস্থিতিতেই বিরোধী তৃণমূলের সমাচলোচনার মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রের সরকারকে।
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন প্রত্যেকে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় যেমন বলেছেন, “নরেন্দ্র মোদি আবারও তাঁর প্রিয় দেশবাসীকে একটা বিপর্যয়ের সামনে এনে দাঁড় করালেন। ২০১৪ থেকে পেট্রল ও ডিজেলের মূল্য যথাক্রমে ২৪৭ শতাংশ ও ৭৯৪ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি এসবকে গুরুত্ব দেন না।”
অভিষেকের টুইট শেয়ার করে ডেরেক বলেছেন, টানা ১৭ দিন ধরে এই চলছে।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahuk Gandhi) ‘সারেন্ডার মোদি’ বলে আওয়াজ তুলেছেন। সেই সুরেই চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, “কোভিড সংকটে ব্যর্থ সরকার, চিন নিয়ে অবস্থান, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি- সব কিছুতেই মোদিজি একেবারে ‘রেডিও সাইলেন্স’ হয়ে গেলেন। এই যদি তাঁর মানুষের খেয়াল রাখা হয়, তবে তা আমাদের কাছে খুব ভয়ের।” মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও একই সুরে আক্রমণ করে বলেছেন, “কোভিডের পর আরও একবার। জ্বালানির মূল্য বাড়িয়ে মানুষের শান্তি ছিনিয়ে নিল কেন্দ্রের সরকার।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.