নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বাংলায় রথযাত্রার কর্মসূচি শেষমেশ সম্ভব হয়নি। সেই ঘাটতি পূরণ করতে রাজ্যজুড়ে জনসভার প্রস্তুতিতে নামল বিজেপি। রাজ্যে মোট ৩১০টি সভার আয়োজন করার লক্ষ্য নিয়ে এগনো হচ্ছে। সেই সব সভায় দলের কেন্দ্রীয় নেতারা হাজির থাকবেন। সবশেষে ব্রিগেডের ‘মেগা ইভেন্টে’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উপস্থিত করা হবে। সেই সমাবেশ হবে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে। অর্থাৎ, লোকসভা নির্বাচনের একেবারে মুখে। তার আগে অবশ্য পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বাংলায় ২ এবং ৮ ফেব্রুয়ারি জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর পরেও তাঁকে দিয়ে আরও একটি সভা করানোর পরিকল্পনা রয়েছে দলের। প্রধানমন্ত্রীর পরের জনসভাগুলির দিনক্ষণ এখনও ঠিক না হলেও, লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি পশ্চিমবঙ্গে প্রায় এক ডজন সভা করতে পারেন বলেই সূত্রের খবর।
বস্তুত, লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গকে ‘পাখির চোখ’ করেছে বিজেপি। অন্য রাজ্য থেকে আসনের ঘাটতি বাংলা থেকে অনেকটাই পুষিয়ে নিতে চায় দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মধ্যে বাংলা থেকেই বিজেপি সবথেকে ভাল ফল করবে বলে দাবি করা হচ্ছে। রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২৩টি আসনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে বিজেপি। তবে বাংলায় দলের সংগঠন সেভাবে মজবুত নয় এবং নেতৃত্বের ক্ষেত্রে ‘বড়সড়’ মুখের অভাব, রাজ্য নেতাদের মধ্যে দু’টি শিবিরের দ্বন্দ্ব- এই সব বিষয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অজানা নয়। কিন্তু তাতে লোকসভা নির্বাচনে কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলেই দলের শীর্ষ নেতারা আশাবাদী। ত্রিপুরা দখলের ‘মডেল’ প্রয়োগের রণনীতি তৈরি করা হচ্ছে। রাজ্যে বিজেপির ভোট শতাংশ দেখে গাণিতিক হিসেবে নয়, আম জনতার মধ্যে পরিবর্তনের ‘মুড’ তৈরি করা আপাতত বিজেপির লক্ষ্য। লোকসভা নির্বাচনে দেশের নেতা নির্বাচন করা হবে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নয়- এই বার্তা বাংলার মানুষের কাছে বিজেপির তরফ থেকে জোরালোভাবে তুলে ধরা হবে বলে ঠিক হয়েছে।
[ফের বিগ বি’র কংগ্রেস যোগ, ‘মামু’র কথাতেই রাজনীতিতে প্রিয়াঙ্কা!]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.