Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা আতঙ্ক

মোদির নির্দেশ, আপাতত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ‘না’ বঙ্গ বিজেপির

রাজ্যবাসীকে সচেতন করতে রাস্তায় মাস্ক বিলি বিজেপি কর্মীদের।

Modi ask bjp workers to avoide rally and protests for Coronavirus

ফাইল ফটো

Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:March 18, 2020 9:30 am
  • Updated:July 2, 2022 7:06 pm  

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: করোনার সংক্রমণ থেকে প্রতিটি রাজ্যে নিজের কর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের যে কটি রাজ্যে গেরুয়া শিবির বিরোধী দল হিসেবে রয়েছে সেখানে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রতিবাদ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে পুরভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গেও নিজেদের কর্মসূচিতে রাশ টানতে হল পদ্ম শিবিরকে।

করোনার থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না কোনও রাজ্যই। মঙ্গলবার রাতেই প্রথম কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। এছাড়াও এই রাজ্যে আরও ৪ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের প্রমাণ মিলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। এমত অবস্থায় প্রতিটি রাজ্যে নিজেদের কর্মীদের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ করতে নিষেধ করেছেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি। তাই ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিটি রাজ্যে সমস্ত রকম কর্মসূচি বাতিল করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা। প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশ তো বটেই, বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ কর্মসূচি, সেমিনার সবই স্থগিত রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র দলের ছোটখাট কয়েকটি সাংগঠনিক বৈঠক ছাড়া কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতেই তারা অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানা যায়। তবে রাজ্যজুড়ে করোনা সচেতনতায় নেমে পড়েছেন বিজেপি সমর্থকরা। রাস্তায় গিয়ে মাস্ক বিলি করা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে সচেতনতার বার্তাই দিতে চাইছেন তারা। তবে এতেও সমালোচনা করতে ছাড়ছেন না নিন্দুকরা। বিজেপির কর্মীরা এই কর্মসূচির মাধ্যেমেও নিজেদের জনসংযোগ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন বলেই দাবি করেছেন বাকি রাজনৈতিক দলগুলি। অন্যদিকে মুরলিধর সেন লেনে যাতে বেশি ভিড় না হয় সেদিকেও সচেতনতা জারি করা হয়েছে। প্রতিদিনই বিজেপির রাজ্য দফতরে কলকাতা ও জেলার বিভিন্ন কর্মীরা হাজির হন। এখন সেই সকল কর্মীদের আসতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের ভিড় এড়াতে ও সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন:কলকাতার পর এবার রায়গঞ্জ, বিজেপির গোমূত্র পানের কর্মসূচির জেরে শুরু বিতর্ক]

মঙ্গলবার হেস্টিংস অফিসে ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, সুব্রত চট্টোপাধ্যায়, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। মুরলীধর সেন লেনের তুলনায় হেস্টিংস অফিস একটু বড় হওয়ায় সেখানে খোলামেলা পরিবেশেই আলোচনা সারেন সকলে। এদিকে পুরভোট পিছিয়ে যাওয়ায় বাংলায় সংগঠনকে মজবুত করতে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব এখনই শক্তহাতে হাল ধরতে চায়। প্রতিটি ওয়ার্ডস্তরের কর্মীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন তারা। প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্স করে কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার নির্দেশ দেন তারা।

[আরও পড়ুন:এবার করোনার থাবা ভারতীয় সেনায়, প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত লেহর এক জওয়ান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement