Advertisement
Advertisement

Breaking News

মোবাইলের সূত্রে ধৃত

চোরাই মোবাইল অন হতেই পুলিশের জালে বর্ধমানের আইনজীবী খুনে মূল অভিযুক্ত

ধৃতদের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

Mobile phone exposes location, cops nab Burdwan lawyer murder accused
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:November 5, 2019 12:13 pm
  • Updated:November 5, 2019 12:13 pm  

সৌরভ মাজি,বর্ধমান: চুরি করা অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি শ্যালকের কাছে লুকিয়ে রাখতে চেয়েছিল খুনে অভিযুক্ত ব্যক্তি। কিন্তু শ্যালক ভুল করে সেটি চালু করে ফেলেছিলেন। আর সেটাই কাল হল। পুলিশের রাডারে ধরা পড়ে গেল অভিযুক্ত। সূত্রের খবর, বর্ধমানের আঝাপুর মহিলা আইনজীবী খুনের ঘটনায় এভাবেই অভিযুক্তদের জালে আনল জেলা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৬ অক্টোবর রাতে মিতালিদেবীর বাড়িতে পাঁচিল টপকে ঢুকেছিল ওই গ্রামেরই প্রশান্ত ক্ষেত্রপাল ও সুজিত ঘোড়ই। তারপর মিতালিদেবীকে খুন করে টাকা, গয়না লুঠ করে পালায়। যাওয়ার সময় তারা মিতালিদেবীর মোবাইল ফোনটিও সঙ্গে নিয়ে যায়। অভিযুক্ত প্রশান্ত ক্ষেত্রপাল ফোনটি বন্ধ করে রেখেছিল। শনিবার রাতেই স্থানীয় একটি ধাবায় মদ খেতে যায় তারা। বিদেশি মদ খায়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই আসরে প্রশান্তর শ্যালকও ছিল। আরও একজন ছিল সেখানে। কিন্তু তাদের ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানায়নি প্রশান্ত ও সুজিত। মদ্যপানের পর প্রশান্ত তার শ্যালকের কাছে মোবাইলটি রাখতে দেয়। পরদিন আবার ঘটনাস্থলে গিয়ে খুনের ঘটনার দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চারও হয় প্রশান্ত। পুলিশ মোবাইলটি হদিশ পেতে টাওয়ার লোকেশনের উপর নজরদারি শুরু করে। কিন্তু সেটি বন্ধ থাকায় টাওয়ার লোকেশন পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রশান্তর শ্যালক মোবাইলটি নিয়ে কালনার ভবানন্দপুরের বাড়ি চলে যায়।

[ আরও পড়ুন: বোমা মেরে খুনের চেষ্টা, বরাতজোরে প্রাণে বাঁচলেন ডোমকলের তৃণমূল নেতা]

এর এক সপ্তাহ পর শনিবার প্রশান্তর শ্যালক ওই মোবাইল ফোনটি অন করে। পুলিশ টাওয়ার লোকেশন পায়। সেই সূত্রে প্রশান্তর শ্যালকের কাছে জানতে পারে, কোথা থেকে মোবাইলটি সে পেয়েছে। এদিকে, ঘটনার পর থেকে এলাকায় খবর চাউর হয়ে যায় যে ‘গাঁজাখোর’ বলে পরিচিত প্রশান্ত কালীপুজোর আগের রাতে দেদার বিলিতি মদ খাচ্ছিল, টাকা ওড়াচ্ছিল। মোবাইলের হদিশ মিলতেই পুলিশ দুইয়ে-দুইয়ে চার করে ফেলে।
খুঁজতে খুঁজতে প্রশান্তর নাগাল পায় জেলা পুলিশ। তাকে কয়েকদফা জেরা করলেও পেশাদার খুনিদের মতো কোনও তথ্যই সে পুলিশকে দেয়নি। তবে তার কাছ থেকে সুজিতের নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। সুজিতকেও গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তী সময়ে জেরায় দু’জনই অপরাধের কথা স্বীকার করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ‘চাচা’ আবেগে ভর করেই খড়গপুর সদরে ভোট বৈতরণি পেরতে চায় কংগ্রেস]

সোমবার ধৃতদের ১৪ দিনের হেফাজতে নিতে চেয়ে আবেদন জানানো হয় পুলিশের তরফে। বর্ধমানের ভারপ্রাপ্ত সিজেএম সোমনাথ দাস ধৃতদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশন আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তাঁদের সহকর্মী খুনে ধৃতদের হয়ে কোনও আইনি লড়াই লড়বেন না। তাই এদিন ধৃতদের হয়ে কোনও আইনজীবী সওয়াল করেননি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement