Advertisement
Advertisement
Uttar Dinajpur

খাবারের মান যাচাইয়ে ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগার, তৎপরতা শুরু উত্তর দিনাজপুরে

দোকানের ঝলমলে আলোর আড়ালে দূষিত ভেজাল খাবার দেদার বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ।

Mobile laboratory to check food quality in Uttar Dinajpur

ফাইল ছবি

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:January 3, 2025 2:48 pm
  • Updated:January 3, 2025 2:48 pm  

শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: খাবার পরীক্ষার পরীক্ষাগারের অভাবে নিঃশব্দে উত্তর দিনাজপুর জেলার দোকান-বাজারে ভেজাল খাবারের রমরমা! অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসচেতনতার জেরে দূষিত খাবার মুখে পুরে পেটের নানাবিধ ব্যাধিতে আক্রান্তের সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। তাই এবার শুরু হয়েছে তৎপরতা। খাবারের মান যাচাইয়ের জন্য ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগার চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। 

জানা গিয়েছে, জেলা সদর রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় জেলায় ফুড সেফটি দপ্তর রয়েছে। কিন্তু চতুর্থ শ্রেণি পদের একমাত্র কর্মী নিযুক্ত রয়েছেন। নেই জেলার স্থায়ী ফুড সেফটি ইন্সপেকটিং অফিসার। দীর্ঘবছর ধরেই দার্জিলিং জেলার সংশ্লিষ্ট আধিকারিক অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে এ জেলা সামলাচ্ছেন। তবে পাঁচটি ব্লকের ফুড সেফটি আধিকারিক নিযুক্ত থাকলেও খাবার পরীক্ষার জন্য জেলায় স্থায়ী পরীক্ষাগার কিংবা ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগার নেই। রায়গঞ্জ পুর এলাকায় ফুড সেফটি আধিকারিক নেই। তবে, ভেজাল খাবার রুখতে এবার ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগার চালু হবে। 

Advertisement

রায়গঞ্জ ব্লক হাসপাতালে ফুড সেফটি আধিকারিক সুচিস্মিতা তলাপাত্র এনিয়ে বলেন, “বিভিন্ন দোকানের খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কলকাতার ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়।” কিন্তু শহর থেকে গ্রামের বিভিন্ন দোকানের দুগ্ধজাত খাবার থেকে বিরিয়ানি-সহ যাবতীয় ফাস্ট ফুডের মান দ্রুত নির্ণয়ের ন‌্যূন‌তম ব্যবস্থা নেই। ফলে দোকানের ঝলমলে আলোর আড়ালে দূষিত ভেজাল খাবার দেদার বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ। সুস্বাদু ভেবে তৃপ্তিতে মুখেও পুরছেন নানা বয়সী ক্রেতারা। যদিও রায়গঞ্জ ও কালিয়াগঞ্জ শহরের হাতেগোনা কয়েকটি দোকানে বছরে এক থেকে দুবার অভিযান চালিয়ে খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু খাবারের নমুনার রিপোর্ট কলকাতা থেকে জেলায় ফিরতে আসতে ছয় মাস থেকে বছর পার হয়ে যায়। এই দীর্ঘসূত্রতার সুযোগ নিয়ে অনেক দোকানে ভেজাল খাবার বিক্রি অব্যহত। বাস্তবে আইন থেকেও পার পেয়ে যান বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা।

ইসলামপুর ব্লকের সংশ্লিষ্ট আধিকারিক পপি রায় এবং গোয়ালপোখর (১) ব্লকের গার্গী রায় বলেন, “নির্দেশ মতো বিভিন্ন হোটেল থেকে মিষ্টির দোকানে অভিযান চালানো হয়।” অন্যদিকে জেলার অতিরিক্ত ফুড সেফটি ইন্সপেক্টিং অফিসার বিজয় কুমাই বলেন, “রায়গঞ্জের বিভিন্ন কর্মীরা কাজ করছেন। তবে ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরি না থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছেই।” এ ব্যাপারে ডেপুটি সিএমএইচও তথা ফুড সেফটি দপ্তরের জেলায় ডেজিগনেটেড অফিসার দেবাশিস রায় বলেন, “বিভিন্ন দোকানের খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতার ল্যাবরেটরি পাঠানো হয়। নিয়ম অনুযায়ী একমাসের মধ্যে রিপোর্ট আসার কথা। কিন্তু রিপোর্ট একটু সময় লাগে। তবে আগামী মাসের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগার চালুর সম্ভাবনা রয়েছে।” এই পরীক্ষাগার চালু হলে সমস‌্যা দূর হবে বলে জানানো হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement