ধীমান রায়, কাটোয়া: এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার বড়বেলুন এলাকায়। অভিযোগ, প্রতিবেশীর সঙ্গে অশান্তির জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে।শনিবার সকালে ঘটনার প্রতিবাদে ব্যক্তির দেহ অভিযুক্ত প্রতিবেশীর বাড়িতে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে যায় ভাতার থানার পুলিশ ও ব়্যাফ। প্রায় ৫ ঘণ্টা পর পুলিশ ও পঞ্চায়েত উপপ্রধানের আশ্বাসে বিক্ষোভ ওঠে।
[আরও পড়ুন:ফেস্টুন ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, ভোটের পর ফের উত্তপ্ত উলুবেড়িয়া]
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত বুদ্ধদেব নন্দী পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বড়বেলুন এলাকার বাসিন্দা। বাড়ির পাশেই তাঁর একটি মুদি দোকানও রয়েছে। জানা গিয়েছে, কয়েকমাস আগে দোকানটি পাকা করার জন্য সেটি ভেঙে ফেলা হয়। এরপর নতুন দোকানঘর নির্মাণের কাজ শুরু করতেই ঘটে বিপত্তি। অভিযোগ, তাঁর দোকান তৈরির কাজে বাধা দেন প্রতিবেশী গঙ্গেশ মিত্র। তাঁরা বলেন, দোকানের অংশের মধ্যে তাঁদেরও জায়গা রয়েছে।
এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই গঙ্গেশ মিত্রের পরিবারের সঙ্গে অশান্তি চলছিল বুদ্ধদেববাবুর। সেই অশান্তি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। অভিযোগ, ওই অশান্তির জেরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বুদ্ধদেববাবু। একাধিকবার তাঁকে হাসপাতালে ভরতিও করা হয়। এরপর গত বুধবার রাতে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন বুদ্ধদেববাবু। শরীর বেশ খারাপ হয়৷ তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করা হয়। শুক্রবার রাতে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা।
[আরও পড়ুন: ভোটারদের মন পেতে গানই ভরসা, পুরুলিয়ায় যুযুধান শাসক-বিরোধী দুই শিবির]
শনিবার সকালে দেহটি হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পর সেই দেহ নিয়ে গঙ্গেশ মিত্রের বাড়িতে চড়াও হন স্থানীয়রা। দেহটি তাঁর বাড়ির বারান্দায় রেখে সকাল ৮ টা থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে যায় ভাতার থানার পুলিশ। তাঁদের সামনেই দীর্ঘক্ষণ চলে বিক্ষোভ। এরপর নামানো হয় ব়্যাফ। পরে এদিন দেড়টা নাগাদ ঘটনাস্থলে যান ভাতার থানার ওসি প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বড়বেলুন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তারা পরিস্থিত খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের শাস্তির আশ্বাস দিলে ওঠে বিক্ষোভ। প্রসঙ্গত, বুদ্ধদেববাবুর মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযু্ক্ত তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
ছবি: জয়ন্ত দাস৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.