ছবি: প্রতীকী
বাবুল হক,মালদহ: স্রেফ সন্দেহের বশে গণধোলাই৷ ছেলেধরার আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসেছে মালদহের হবিবপুরে৷ বুধবার ছেলেধরা সন্দেহে ফের এক যুবককে বেধড়ক মারধর করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ পরে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে মারা যান তিনি৷ গত কয়েক দিনে হবিবপুরের বিভিন্ন এলাকায় গণপিটুনির শিকার ৫ জন৷ তবে এরআগে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি৷ ছেলেধরা সন্দেহে গণধোলাইয়ের ঘটনায় চিন্তিত প্রশাসন৷ তদন্তে নেমেছে পুলিশ৷
[সিউড়িতে খাদানকর্মীর বাড়িতে বিস্ফোরণ, গুরুতর জখম বাড়ির মালিক]
নিঝুম দুপুরে কাঁধে বস্তা নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে কাগজ কুড়ানি৷ তাঁকে দেখিয়ে অবাধ্য সন্তানকে ছেলেধরার ভয় দেখাতেন অভিভাবকরা৷ ছোটবেলায় কম-বেশি এমন অভিজ্ঞতা তো সকলেরই আছে৷ কিন্তু, সত্যি কী আর ছেলেধরা বলে কিছু হয়! অথচ সেই ছেলেধরার আতঙ্কেই কাঁপছেন মালদার হবিবপুর ব্লকের বাসিন্দারা৷ পরিস্থিতি এমনই যে, স্রেফ সন্দেহের বশে লোকজনকে গণধোলাই দিতেও দ্বিধা করছে না তাঁরা৷ গত কয়েকদিন গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন ৫ জন৷ প্রাণহানির ঘটনা ঘটল বুধবার৷ এদিন দুপুরে হবিবপুরের বুলবুলচন্ডীর ডুবাপারা এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে এক যুবকের উপর চড়াও হন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ তাঁকে ল্যাম্প পোস্টে বেঁধে চলে বেধড়ক মারধর৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ৷ কোনওমতে আক্রান্ত যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ৷ যদিও গ্রামবাসী তাঁকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ৷ গুরুতর জখম ওই যুবককে ভরতি করা হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে৷ কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি৷ হাসপাতালে মারা যান তিনি৷ মৃতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি৷ এদিকে এই ঘটনায় এলাকায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে৷ হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডী এলাকায় ডুবাপারায় মোতায়েন বিশাল পুলিশবাহিনী৷
জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে এই ছেলেধরার আতঙ্ক প্রথম ছড়িয়েছিল হবিবপুরের ছাইতনতলা গ্রামে৷ সেই শুরু৷ থানায় অভিযোগ জানাচ্ছেন না কেউ৷ সন্দেহ হলেই গণধোলাই৷ মারধরের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না মহিলারাও৷ এই ঘটনায় চিন্তিত প্রশাসন৷ তদন্তে নেমেছে পুলিশ৷
[ছেলে-বউমার অত্যাচারে ঘরছাড়া, থানায় অভিযোগ দায়ের সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.