পলাশ পাত্র, তেহট্ট: কারও স্বামী নেই, আবার কারও সন্তান দেখে না। কেউ বা আবার স্বামী পরিত্যক্তা – এরকম সাতশোজনের সঙ্গে বিজয়া সারলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিধায়ক নন্দ সাহা। বুধবার নবদ্বীপের পোড়াঘাট ভজন আশ্রমে সহায় সম্বলহীন এই মানুষগুলির হাতে তুলে দিলেন শাড়ি, বিছানার চাদর, গামছা, মিষ্টি। পায়ে হাত দিয়ে প্রণামও করলেন তিনি। পেলেন আশীর্বাদ।
পথে ঘাটে ঘুরে বেরিয়ে যৎসামান্য যা জোটে তা দিয়ে জীবন অতিবাহিত করেন এই মানুষগুলি। প্রাক্তন মন্ত্রীর দেওয়া উপহার হাতে পেয়ে বেজায় খুশি তাঁরা। গত পঁচিশ বছরের বেশি সময় ধরে এই কাজটি করছেন নবদ্বীপের সকলের পরিচিত নন্দ সাহা। অকৃতদার এই মানুষটিকে ওই মানুষগুলো দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেন। বৃদ্ধারা বলেন, “উনি দীর্ঘদিন ধরে বিজয়া দশমীর পরের দিন শাড়ি, গামছা, চাদর, মিষ্টি দেন। আমাদের এই উপহার পেতে বেশ ভাল লাগে।” বিধায়ক নন্দ সাহা বলেন, “বিধায়ক হওয়ার অনেক আগে থেকেই প্রতিবছর দশমীর পরের দিন ওই আশ্রমের বৃদ্ধাদের পা ছুঁয়ে প্রণাম করে তাঁদেরকে মিষ্টিমুখ করাই। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি তাঁরা যেন ভাল থাকেন।”
এদিকে, বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ সাহাও প্রতি বছর একাদশীর দিন এভাবেই বিজয়া সারেন। এই দিনটির জন্য বছরভর অপেক্ষা করে থাকেন এই সব সহায় সম্বলহীনরা। নবদ্বীপের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংসারে অবহেলিত, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ওই সব বৃদ্ধারা প্রতিদিনই নাম সংকীর্তন করতে আসেন ভজন আশ্রমে। বিনিময়ে ওই আশ্রম থেকে মেলে সামান্য কিছু চাল, ডাল, আটা, তেল, মশলা। সব মিলিয়ে কোনক্রমে ওরা বেঁচে থাকার লড়াই চালান। এভাবে বিজয়ার অনুষ্ঠানে শামিল হতে পেরে খুশি তাঁরাও। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নবদ্বীপের বিডিও, পুরপ্রধান বিমান সাহা, এলাকার কাউন্সিলর-সহ একাধিক নেতৃত্ব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.