বিক্রম রায়, কোচবিহার: সাংগঠনিক পদ থেকে আগেই সরেছেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক মিহির গোস্বামী। এবার নিজের কার্যালয় থেকে সরিয়ে দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ছবি। ‘কোনও ঠিকাদারি সংস্থাকে দিয়ে সংগঠন চাঙ্গা করা যায় না’, টিম পিকে-কে বিঁধে একথাও বললেন তিনি।
শুক্রবার নিজের কার্যালয়ে লাগানো তৃণমূলের পতাকা-সহ ব্যানার খুলে ফেলেন মিহিরবাবু। কার্যালয়ের সামনে নতুন ব্যানারে লেখা হয়, “কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামীর কার্যালয়”। ধর্মসভার সেই কার্যালয়ের ভিতরে থাকা মুখ্যমন্ত্রী ছবি সরিয়ে সেখানে স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো মনীষীদের ছবি লাগানো হয়েছে। এদিন সেখানেই কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের কর্মী এবং একাংশ নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠক করেন বিধায়ক। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পিকের সংস্থা “আইপ্যাক”-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিধায়ক। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “কোনও ঠিকাদারি সংস্থাকে দিয়ে রাজনৈতিক দল পরিচালিত হতে পারে না। তাতে ক্ষতি হবার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।” বিক্ষুব্ধ বিধায়কের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত দলের জেলা সভাপতি বা রাজ্য নেতৃত্বের যোগাযোগ বা কথা হয়নি বলেই এদিন স্পষ্ট করে দেন তিনি। তৃণমূলের সাংগঠনিক দায়িত্ব ছাড়ার পরও একাংশের তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে বিধায়কের বৈঠকে হইচই পড়েছে জেলায়।
সম্প্রতি কলকাতায় গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। সেখান থেকে ফিরে এসে এদিন কর্মীদের নিয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি জানান, তিনি এখনও বিধায়ক রয়েছেন। দল-মত নির্বিশেষে তার কাছে কর্মীরা আসেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে কোনও সাংগঠনিক আলোচনা করা হয়নি। কারণ, তিনি সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে আগেই পদত্যাগ করেছেন। জানান, মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। ১৮ অক্টোবর বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক রয়েছে। সেখানে তিনি যাবেন কি না তার সিদ্ধান্ত এখনও নেননি বিধায়ক। উল্লেখ্য, অক্টোবর মাসের ২ তারিখ তৃণমূলের নতুন ব্লক কমিটি ঘোষণার পর রীতিমতো দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংগঠনিক পদ ত্যাগের কথা ঘোষণা করেছিলেন বিধায়ক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.