শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়েছেন অনেকদিন আগে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের হয়ে ময়দানে নেমেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। খোলসা করলেন দলবদলের কারণ।
মঙ্গলবার রায়গঞ্জে একটি রাস্তার শিলান্যাসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী (Krishna Kalyani)। সেখানেই উঠে আসে দিলীপ ঘোষ প্রসঙ্গ। বলেন, “আপনারা আমাকে বিশ্বাস করে বিধায়ক করেছিলেন। কিন্তু বিধায়ক হওয়ার পর কাজ করতে পারছিলাম না।” দিলীপ ঘোষকে নিশানা করে বলেন, “একদিন হেস্টিংসে বৈঠকে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছিল, নিজের স্পিড যদি ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার হয়, আর জেলার যদি ৪০ হয়, সেক্ষেত্রে নিজেদেও জেলার স্তরে নামতে হবে। অর্থাৎ দ্রুত গতিতে কাজ করা যাবে না। মানুষের কাজ করলেই ভোটে জেতা যায় না। আন্দোলন প্রয়োজন।”
কৃষ্ণ কল্যাণীর কথায়, “সেদিনই আমি বুঝে গিয়েছিলাম যে এদের সঙ্গে আমার চিন্তাধারা মিলবে না। তারপরই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার। সেই মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে যাই। উনি আমাকে ওনার পরিবারে জায়গা দিয়েছেন।”
রায়গঞ্জের বিধায়কের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতের রাহুল সিনহা বলেন, “ওনাকে মানুষ ভোট দিয়েছিল বিজেপির জন্য। উনি জিতে গিয়ে দলটা পালটে ফেললেন। এটা প্রতারণা।” পাশাপাশি বিধায়ক পদ ত্যাগ করে নতুন করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতে আসার চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে বিজেপি ছেড়েছেন আরও এক বিধায়ক। তিনি আলিপুরদুয়ারের সুমন কাঞ্জিলাল। দলবদলের নেপথ্যে, তাঁর অভিযোগও ঠিক কৃষ্ণ কল্যাণীর মতোই। সুমন কাঞ্জিলাল বলেছেন, “২ বছর আগে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু মানুষের জন্য কোনও কাজ করতে পারিনি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.