ধীমান রায়, কাটোয়া: কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে কাটোয়ার বিধায়ক তথা পুরসভার চেয়াম্যান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। পুরসভার অফিসে ঢুকে পুরপ্রধানের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন কয়েকজন মহিলা। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে কাটোয়া থানার পুলিশ। ধৃত ৬ মহিলা।
সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের ঘটনার পর বিধায়কদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা। কিন্তু বুধবার নিরাপত্তার ঘেরাটোপ এড়িয়ে কাটোয়া পুরভবনে বিধায়কের কাছে হাজির হন কয়েকজন মহিলা। সূত্রের খবর, এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ প্রথমে দুজন অপরিচিত মহিলা পুরপ্রধানের অফিসে যান। সেই সময় অফিসেই ছিলেন বিধায়ক তথা পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কাছে মেয়ের বিয়ের জন্য সাহায্য চান তারা। এরপর মহিলাদের নাম পরিচয় ও ঠিকানা জানতে চান রবীন্দ্রনাথবাবু। কথাবার্তার পর তাদের পরে দেখা করতে বলেন তিনি। বিধায়কের অভিযোগ, এরপরই আরও ৪ জন মহিলা ঘরে ঢুকে পড়ে। তিনি ঘর থেকে বেরোনোর চেষ্টা করলে তার হাত-পা ধরে টানতে থাকে অভিযুক্তরা। চেঁচামেচির শব্দ পেয়ে অফিসের বাইরে কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষী ও পুরকর্মীরা গিয়ে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে উদ্ধার করেন। তড়িঘড়ি খবর পাঠান হয় কাটোয়া থানায়। গ্রেফতার করা হয়েছে ৬ অভিযুক্ত সানিয়া মণ্ডল, মিনা সাউ, সোমা সিং, টুকু সাউ, লক্ষ্মী চৌধুরিকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে মিলেছে একাধিক অসংগতিও।
পুলিশ সূত্রে খবর, মাস ছয়েক আগে গোয়েন্দা বিভাগ থেকে পুলিশের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছিল যে, মহিলাদের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন বিধায়ক। এরপর পুরপ্রধানেক সঙ্গে একজন মহিলা নিরাপত্তারক্ষীও দেওয়া হয়েছিল। কয়েকমাস পরে আবার তাঁকে সরিয়েও দেওয়া হয়। কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক খুনের পর ফের মোতায়েন করা হয়েছিল নিরাপত্তারক্ষী। কিন্তু কেন এই আক্রমণ? ঘটনার পিছনে কি রাজনৈতিক যোগসূত্র রয়েছে? তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
ছবি: জয়ন্ত দাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.