রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: “বিধায়ককে (MLA) খুনই করা হয়েছে”, এই অভিযোগেই অনড় রাজ্য বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) কথায়, “রাজনৈতিক হিংসার বলিই হয়েছেন বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়। আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। সিবিআই তদন্ত হলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। সেই জন্যই সরকার সিবিআই তদন্ত করবে না।”
এদিন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, “আগে পুরুলিয়ায় যেভাবে গাছে ঝুলিয়ে বিজেপি কর্মীদের হত্যা করা হয়েছিল এটা সেই একই পদ্ধতি। অন্য কোথাও হত্যা করে বিধায়ককে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।” সাংসদের বিস্ফোরক অভিযোগ, “সুইসাইড নোট পুলিশ ঢুকিয়ে দিয়েছে।” ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কীভাবে এত তাড়াতাড়ি এল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর অভিযোগ, পিএম রিপোর্ট আগে থেকে তৈরি ছিল, সেটাই দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও প্রয়োজনে যাওয়া হতে পারে বলে জানান দিলীপ।
এদিন রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেন, রাজবংশী সমাজে গ্রহণযোগ্য মুখ ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ রায়। সেই জায়গা দখল করতেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার পিছনে এক তৃণমূল যুবনেতার নামও উঠে এসেছে এদিন দাবি করেন দিলীপ ঘোষ। দলের নেতাদের রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ প্রসঙ্গে এদিন রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেন, “আজ কৈলাসবাবুরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছেন। সরকার সরানোর পরামর্শ দিয়েছেন।” এরপরই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন সাংসদ। বলেন, “একটা কুকুর মরলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সিবিআই তদন্ত চাইতেন একসময়। রেজানুর রহমানকে নিয়ে কলকাতা অচল করে দিয়েছিলেন। কিন্তু রিজানুর মারা গিয়েছিলেন ট্রেন থেকে পরে।” মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করেই তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেছেন বলে এদিন মন্তব্য করেন সাংসদ। পাশাপাশি, আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন, “আমরা জনতার দরবারে গিয়ে ক্ষমতায় আসব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.