দীপঙ্কর মণ্ডল: দীর্ঘদিন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই চালালেও বর্তমানে গেরুয়া শিবিরেরই শরিক কাঁথি উত্তরের বিধায়ক বনশ্রী মাইতি। বাংলাকে বিজেপিই বাঁচাতে পারে, সেকারণেই দলবদল বলে দাবিও করেছেন তিনি। কিন্তু তাঁর ভেরিফায়েড টুইটারের কভার বলছে অন্য কথা। ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মশিবিরে নাম লেখালেও তিনি তৃণমূল ‘প্রীতি’ ছাড়তে পারেননি বলেই মনে করছেন অনেকে। যার জেরে বনশ্রীকে বিদ্ধ হতে হচ্ছে সমালোচনায়।
বরাবরই শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অনুগামী হিসেবে পরিচিত ছিলেন কাঁথি উত্তরের বিধায়ক বনশ্রী মাইতি। আশঙ্কা সত্যি করে ‘দাদা’র পথে হেঁটে গত ডিসেম্বরে দল ছাড়েন তিনি। যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। স্বাভাবিকভাবেই দলবদলের পর নানাভাবে শাসকদলকে আক্রমণ করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। একাধিক অভিযোগও তুলেছেন। কিন্তু নিজের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টের কভারে থাকা ‘নিজেকে বিজেপির থেকে সুরক্ষিত চিহ্নিত করুন’ ছবিটি বদল করেননি তিনি। নেহাত ভুল? নাকি ভেবেচিন্তেই একাজ? সেই প্রশ্নের উত্তর মেলার আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানারকম কটাক্ষের শিকার বনশ্রী। হাসির খোরাকও হতে হচ্ছে বিধায়ককে (MLA)। যদিও দলবদলের পর ওই প্রোফাইলটি আর ব্যবহারও হয়নি। শেষ টুইট করা হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর।
বিষয়টা ঠিক কী? বনশ্রীদেবী সাফাই দিয়ে জানান, ওই টুইটার অ্যাকাউন্টটি তিনি হ্যান্ডেল করেন না। যে করতেন তাঁকে নাকি অ্যাকাউন্টটি বন্ধের নির্দেশও দিয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী। কিন্তু কোনওকারণে তা হয়ে ওঠেনি। আর সেই জন্যই ঠাট্টার খোরাক হতে হচ্ছে বিধায়ককে। শুধু কভার নয়, তাঁর টুইটারের প্রতি পোস্টে এখনও নজরে পড়ছে তৃণমূলের জয়গান। উল্লেখ্য, দলবদলের কয়েকদিন আগেও তৃণমূলের পক্ষে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছিল বনশ্রী মাইতিকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.