সুব্রত বিশ্বাস: হাওড়ায় কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ রয়েছে। ঠিক সেই সময়ই বালিতে পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে পুরসভা পরিচালিত বালি কেদারনাথ হাসপাতাল। পাশাপাশি প্রায় ১৬ বছর ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে জন সেবায়তন নার্সিংহোম। বেলুড় স্টেশনের পাশে সরকারি হাসপাতালে বেশ কিছু বিল্ডিং ফাঁকা পড়ে রয়েছে। তিনটি হাসপাতালকে কোভিডের জন্য কাজে লাগানোর দাবি তুললেন স্থানীয় বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া। স্থানীয় মানুষজনও সহমত জানিয়েছেন। রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ডাক্তার নির্মল মাজি জানিয়েছেন, হাসপাতালগুলো কাজে লাগানোর জন্য তিনি স্বাস্থ্য সচিবের কাছে আবেদন জানাবেন।
বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া জানান, তিনি কেদারনাথ হাসপাতাল খোলার আবেদন জানিয়েছেন। হাসপাতালটি সংস্কারের জন্য ২০১৮ সালে বন্ধ হয়। পুরবোর্ড ভেঙে যাওয়ার কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বৈশালীর কথায়, সামান্য সংস্কার করে হাসপাতালটি এই পরিস্থিতিতে খোলা যেতে পারে। করোনার মোকাবিলায় ব্যবহার করা যেতে পারে। হাসপাতালের অভাব মেটাতে শীঘ্র চালু করার জন্য দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি ২০০৪ সালে ডাক্তার সুশীল পাল হত্যার ঘটনায় বন্ধ করে দেওয়া হয় জন সেবায়তন নার্সিংহোম। আইনি জটিলতা কাটিয়ে সেই হাসপাতালটিকেও চালু করার ব্যবস্থার জন্য তিনি স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে আবেদন জানাবেন বলেও জানান তিনি।
বালির বাসিন্দা কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তপন দাস বলেন, “বাম আমলে কম খরচে চিকিৎসা হবে বলে এই নার্সিংহোম তৈরি করেছিলেন বাম নেতৃত্ব। যদিও বালির সাধারণ মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা দান করেছিলেন সেটি তৈরি করতে। চিকিৎসক খুনে সিপিএম নেতা, চিকিৎসক-সহ মোট বারোজনের সাজা হয়। হাই কোর্টের নির্দেশে জামিন হয়েছে। তারপরেও এত বড় হাসপাতালটি বন্ধ। আইনি বাধা কাটিয়ে হাসপাতালটিকে করোনা চিকিৎসাকেন্দ্র করুক সরকার।” বালির বাসিন্দারা সহমত জানিয়েছেন এই দাবিতে। স্থানীয়দের বক্তব্য, মানুষের দানে গড়ে ওঠা হাসপাতালটি জনস্বার্থে খুলে দেওয়া হক। সরকারি উদ্যোগে পরিকাঠামো তৈরি করে হাসপাতাল চালানোর দাবি করেছেন তাঁরা।
বেলুড় স্টেশনের পাশে সরকারি হাসপাতালটিতে মেডিক্যাল কলেজ গড়ার লক্ষ্যে বেশ কয়েক বছর উন্নয়নের কাজ চলছে। হাসপাতালটিতে একাধিক বিল্ডিং ফাঁকা পড়ে রয়েছে। সেখানে আইসোলেশন ওয়ার্ড করার দাবি করা হয়েছে। নির্মল মাজির দাবি তিনি স্বাস্থ্যসচিবকে একথা জানাবেন। হাওড়ায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা সকলেরই কপালের ভাঁজ চওড়া করছে। হাসপাতালের সংখ্যা সে তুলনায় কম। সাধারণ মানুষের চিকিৎসার সমস্যাও হচ্ছে। বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া জানান, তুলসিরাম জয়সওয়াল হাসপাতালটি করোনার চিকিৎসায় নির্দিষ্ট করে দেওয়ায় সাধারণ রোগীদের চিকিৎসায় ঘাটতি চলছে। বেলুড় হাসপাতালটিতে যাতে করোনা ছাড়া অন্যান্য চিকিৎসার পরিকঠামো যাতে বাড়ানো যায় সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.