Advertisement
Advertisement

দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইস্তফা সিপিএম বিধায়ক-সহ বহু নেতার

রক্তক্ষরণ অব্যাহত৷

MLA and many CPM leader resigned the party
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 24, 2018 4:08 pm
  • Updated:June 24, 2018 4:08 pm  

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: গভীর অসুখে ভুগছে সিপিএম৷ দলের শেষ সময়েও পিছু ছাড়ছে না গোষ্ঠী কোন্দল৷ রবিবার দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে জেলা কমিটির এক ঝাঁক সদস্যের ইস্তফা৷ এই ইস্তফা বিতর্ক আরও প্রবল হয়েছে স্বয়ং বিধায়কের ইস্তফায়৷ দুর্গাপুর সিপিএমে এহেন রণমূর্তি দেখে ভয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব৷

বর্ধমান জেলা বরাবরই যেকোনও বাম রাজনৈতিক আন্দোলনে শ্রমিক শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করেছে৷ সমাজের নিচুতলার মানুষদের সঙ্গে করে আন্দোলনের অন্যতম নামই ছিল বর্ধমান জেলার৷ কিন্তু, সেই জেলা ভাগের পর থেকেই এই নিচুতলার মানুষদের থেকে ক্রমেই সরে আসছে দল৷ আর এটাই এই বিদ্রোহের অন্যতম কারণ৷

Advertisement

[সস্তার বিশ্বভারতীর গেস্ট হাউস এবার মহার্ঘ, ভাড়া বাড়ছে কয়েক গুণ]

নতুন জেলা পশ্চিম বর্ধমান মুলত শিল্পাঞ্চল বলেই পরিচিত৷ কিন্তু, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সিপিএমে ব্রাত্য দলের শ্রমিক সংগঠন৷ শ্রমিক সংগঠনের আন্দোলন বা কর্মসূচিতে আগ্রহ নেই ‘দাদা’দের৷ এই অবস্থায় দলের কাছে গুরুত্ব কমেছে ‘দুর্গাপুর সিপিএম’র৷ ক্রমাগত অবহেলা ও অপমানের বদলা নিতেই জেলা কমিটি থেকে দুর্গাপুর থেকে নির্বাচিত দশ জন সদস্যই একযোগে ইস্তফা দিয়েছেন দলের উচ্চ নেতৃত্বের কাছে৷ দলীয় সূত্রে খবর, দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়ও দলকে প্রবল চাপে রাখতে গত বৃহস্পতিবার ইস্তফা দিয়েছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর কাছে৷ দলের ইতিহাসে এই মাপের বিদ্রোহ আগে কোনদিন দেখা যায়নি৷ তাই দিশেহারা নেতৃত্ব৷

কেন এই বিদ্রোহ? দল ক্ষমতায় থাকার সময় যে সব দলীয় নেতাদের সর্বাগ্রে দেখা যেত তারাই এখন মুখ লুকিয়েছেন৷ শাসকদলের সঙ্গে সমঝোতা করে শান্তিতে কাটাতেই তাঁদের এই আত্মগোপন বলে দলীয় সূত্রের দাবি৷ তখন যারা দলের কাছে ‘বাচ্চা’ ছেলে ছিল, তাঁদেরকেই এখন দলের দুঃসময়ে আগে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে৷ অসন্তোষের জন্ম এখান থেকেই৷ দলের অস্তিত্ব ধরে রাখার দায় না নিলেও কর্তৃত্বের লোভ ছাড়তে চাইছে না নেতাদের একাংশ৷ আর সেখান থেকেই বাড়ছে বিদ্রোহ৷

[‘ক্ষীরের পুতুল’ মেসিকে ঘিরে উচ্ছ্বাস, জন্মদিনের অভিনব সেলিব্রেশনে ফুটবলপ্রেমীরা]

পরিসংখ্যান বলছে, গত বিধানসভায় দুটি আসনই দখল নেয় বিরোধীরা৷ একটিতে সিপিএম ও অন্যটিতে জোট প্রার্থী৷ কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়েও ‘দুর্গাপুর সিপিএমে’র সঙ্গে কার্যত চরম মতান্তর তৈরি হয়েছে রাজ্য সিপিএমের৷ ‘দুর্গাপুর সিপিএমে’র রাজ্য নেতৃত্বের বিবাদ চূড়ান্ত বিস্ফোরণের আকার নেয় সাম্প্রতিক দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলী গঠন নিয়ে৷ দশ জনের সম্পাদকমণ্ডলীতে ঠাঁই হয়নি দুর্গাপুরের নেতাদের৷ পাশের কাঁকসা ব্লকের দুই নেতা জায়গা পেলেও বিরোধী বিধায়ক থাকা সত্বেও ঠাঁই হয়নি ‘দুর্গাপুর সিপিএম’র৷ আন্দোলনে অনীহার কারণে আসানসোল থেকে এক লপ্তে ঠাঁই হয়েছে আট জনের৷ এমনকি বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়েরও জায়গা হয়নি পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে৷ এরই প্রতিবাদে দলের জেলা কমিটির পঞ্চাশ সদস্যের মধ্যে দুর্গাপুর থেকে নির্বাচিত দশ সদস্যই তাঁদের ইস্তফা পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্বের কাছে৷ যদিও জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে তিনটে আসন এখনও ফাঁকা রেখেছে দল৷ ইস্তফা বিতর্কে বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় জানান, “এই সব ভিত্তিহীন রটনা৷’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement