নন্দন দত্ত, রামপুরহাট: পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় জেলায় গিয়ে বিজেপির হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন অভিনেতা তথা বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য মিঠুন চক্রবর্তী। কখনও তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোটের বার্তা দিচ্ছেন তো কখনও দলীয় নেত্রীর বাড়িতে পার পেড়ে খাচ্ছেন। আর এবার উপহারের ‘লোভ’ দেখিয়ে ভোট চাইলেন মিঠুন চক্রবর্তী। পাশাপাশি অনুব্রতকে নিয়ে ফিরহাদ হাকিমের করা ‘বাঘ’ মন্তব্য়েরও পালটা দেন তিনি।
দিন কয়েক আগে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) হয়ে এক জনসভায় সুর চড়িয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁকে ‘বাঘে’র সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। রবিবার ময়ূরেশ্বরে মল্লারপুর থানার নিমতলার জনসভায় তারই পালটা দিয়ে মিঠুন (Mithun Chakraborty) বলেন, “বাঘ বলছেন বলুন, কিন্তু মানুষকে অপমান করবেন না।” এ নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “মিঠুনদা কনফিউজড। বিধানসভা নির্বাচনে আগে গোখরো নিয়ে কথা বলেছিলেন। তবে দেখা গেল রাজনীতির ময়দানে তিনি আসলে জলঢোরা। মমতাদির দয়ায় আর আশীর্বাদে রাজ্যসভায় গিয়েছিলেন। আর সেই ‘বোনে’রই পিঠে ছুড়ি মারেন। মিঠুনদা অভিনেতা হিসেবে বাংলার গর্ব। তবে রাজনীতিবিদ মিঠুনদা বাংলার কলঙ্ক।”
“বিজেপিকে (BJP) এখানে জেতালে আমি আবার আসব। লোভ দেখাচ্ছি না। হবে বললে হবে। সেদিন এখানে ডান্স হবে, গান হবে। আমার ডায়লগ হবে। অনেককে নিয়ে আসব কথা দিলাম।” কিন্তু উপহারের অপেক্ষা না করেই সমাবেশ থেকে তাঁর কাছে চাহিদার বন্যা শুরু হয়ে যায়। মিঠুন চক্রবর্তী তাঁদের পরিষ্কার জানান, “সব কিছু নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, নাড্ডা করে দেবে না। এখন থেকে আমাদের সব করে নিতে হবে। যাতে পরেরবার বলতে পারি আমরা করেছি।”
এরই মাঝে মল্লারপুর বাহিনা মোড়ের বাসিন্দা রীনা লোহার দাবি করেন ২২ বছর ধরে ভাড়া আছেন তিনি। একটা সরকারি ঘর কি পাবেন না? এর উত্তরে মিঠুন জানান, “মোদিজী বাংলায় সাড়ে ১১ লক্ষ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি দিয়েছেন। আপনি পঞ্চায়েতে গিয়ে না পেলে বিডিওকে বলুন।” দশম শ্রেণির ছাত্রী নবনীতা সরকার দাবি করে, প্রধানমন্ত্রীর সংরক্ষণের জন্য তাদের মতো সাধারণ পড়ুয়াদের কোনও সুবিধা নেই। মিঠুনের পাশে থেকে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় উত্তর দেন, প্রধানমন্ত্রীর ইডব্লিউএস মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে চালু করেননি। তাই সংখ্যালঘুরা এ রাজ্যে স্কলারশিপ পেলেও বাকিরা পাচ্ছে না। মিঠুন নবনীতাকে আগামী এক বছরের জন্য প্রতিমাসে তার পড়ার খরচের জন্য দু’হাজার টাকা করে পাঠাবার প্রতিশ্রুতি দেন। পাশাপাশি মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “আমাকে রাজ্যে পাঠান হয়েছিল, কী কী হচ্ছে, তা দেখতে। আমি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে যা জানলাম সব জানাব।”
দেখুন ভিডিও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.