স্টাফ রিপোর্টার: এই রাজ্যের লোকসভা ভোটের লড়াইয়ে মূল শত্রু নির্বাচনে ভুল করেছিল সিপিএম। বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলকে এক পঙ্ক্তিতে ফেলে দিয়েছিল বলেই মত সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্যর। বাংলায় বামেদের হতাশাজনক ফল প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমে তাঁর বক্তব্য, “এটা লোকসভা নির্বাচন। বিধানসভা নির্বাচন নয়। এটা না বোঝার কোনও কারণ ছিল না। এটা বুঝতে যদি কারও কোনও সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে তাঁদের আরও ভাবতে হবে।”
সিপিএমের (CPM) উদ্দেশেই তাঁর যে এই মন্তব্য তা স্পষ্ট। সারা দেশে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে ‘ইন্ডিয়া’ জোট অসাধারণ ফল করেছে। দীপঙ্করের মতে, “বিজেপি এবং বিজেপির বিরুদ্ধেকে, এটাই গোটা দেশের চিত্র ছিল। বিজেপি বিরোধী জোটের মধ্যে যদি আমরা না থাকতাম, তাহলে আমরাও এই ফল পেতাম না।”
উল্লেখ্য, বাংলায় না হলেও বিহারে (Bihar) বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক জোট দেখা গিয়েছিল। তাতেই সাফল্য এসেছে সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের। বিহার থেকে লিবারেশনের সাংসদ গিয়েছেন দিল্লিতে (Delhi)। অন্যদিকে, বাংলায় খাতা খুলতে পারেনি বামেরা। সিপিএমের ফলও হতাশাজনক। সব প্রার্থীই হেরেছেন। দীপঙ্করের কথায়, “বাংলায় সিপিএম মূল জোটের বাইরে গিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে পৃথক জোট বানিয়েছে। সেটা বিজেপির বিরুদ্ধে প্রধান জোট নয়। সেক্ষেত্রে নির্বাচনের ফলাফল দুর্বল হতে বাধ্য।” লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদকের ব্যাখ্যা, “বাংলায় যেভাবে তৃণমূল ও বিজেপিকে সমান্তরালভাবে বিঁধে প্রচার করা হয়েছে, সেটা ঠিক হয়নি। বিজেপি ও তৃণমূলকে একাকার করে দেখা, বিজেমূল তত্ত্ব, এসব বাস্তব অবস্থা নয়। এটা অনেকটা ভাবের ঘরে চুরি করার মতো।”
পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারের জনপ্রিয় প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কোনও সমালোচনা করেননি দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। বরং তাঁর দাবি, “লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বরাদ্দ অর্থ আরও বাড়ানোর কথা ভাবা উচিত। বিশেষ করে দরিদ্র মানুষের জন্য।” মঙ্গলবার কলকাতায় লিবারেশনের রাজ্য দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন কার্তিক পাল, পার্থ ঘোষ প্রমুখ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.