সন্দীপ মজুমদার, উলুবেড়িয়া: নিখোঁজের চারদিন পর হাওড়ার পাঁচলা থেকে উদ্ধার মেদিনীপুরের কলেজ ছাত্র। ওই ছাত্রের নাম মলয় জানা (১৯)। বুধবার হাত-পা, মুখ বাঁধা অবস্থায় রাস্তার পাশে তাকে পড়ে গোঙাতে দেখেন স্থানীয়রা। সঙ্গেসঙ্গেই খবর যায় পুলিশে। পাঁচলা থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার পাঁচলা থানা এলাকার ছ’নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে।
পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া কলেজ ছাত্র মলয়ে বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থানা এলাকার ভাণ্ডারবেড়িয়া গ্রামে। সে স্থানীয় নন্দকুমার কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। রবিবার বিকেলে সাইকেল সারাই করতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তারপর রাত কাটলেও বাড়ি ফেরেননি মলয়। পরের দিন সকালে তমলুক থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করে মলয়ের পরিবার।
সামান্য সুস্থ হওয়ার পর ছাত্র মলয় পুলিশকে জানান, সাইকেল সারানো বেরিয়ে মহিষাদলের রথ দেখতে চলে গিয়েছিলেন তিনি। আচমকাই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বাড়িতে আর জানানো হয়নি। রথ দেখে রাত আটটা নাগাদ ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বাড়ি ফিরছিল অভিযোগ, সেই রাস্তাতেই চারজন লোক হঠাৎ তাঁর মুখ চেপে ধরে গাড়িতে তুলে নেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁকে জোর করে কিছু খাইয়েও দেওয়া হয়। তারপরের ঘটনা আর কিছুই মনে নেই। এরপরেই মলয়ের বাড়িতে খবর যায়। পরিবারের লোকজন পাঁচলাতে পৌঁছালে মলয়কে তাঁদের হাতে তুলে দেয় পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, লক্ষ্য অন্য কেউ ছিল। ভুল করে অপহৃত হয়েছে মলয়। অপহরণকারীদের ভুলেই এই ঘটনা। তাই মলয়কে শারীরিকভাবে কোনও আঘাত করা হয়নি। দিনদুই আটকে রেখে জাতীয় সড়কের ধারে ফেলে গিয়েছে। পুলিশকে ভুল বোঝাতে মেদিনীপুর থেকে হাওড়াতে এনে ফেলা হয়েছে। মাদক খাইয়েই তাঁকে অচেতন করে রাখা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ছেলে নিখোঁজের ঘটনায় আতঙ্কের প্রহর গুনছিলেন মলয়ের পরিবারের সদস্যরা। কেননা কিছুদিন আগেই তাঁদের ভাণ্ডারবেড়িয়া গ্রামে এক যুবক নিখোঁজ হয়ে যান। কয়েকদিন পরে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পাঁচলা থানার পুলিশের ফোনে ছেলের খবর পেয়ে খুশি গোটা পরিবার। কে বা কারা কেনই বা অপহরণের ছক কষেছে, তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.