ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: শান্তিনিকেতনে অশান্তি যেন থামতেই চাইছে না। বুধবার সকালে পদ্মশ্রী প্রাপক সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবক্ষ মূর্তিতে কেউ বা কারা কালি ছিটিয়ে দেয়। এ নিয়ে ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর পাঁচিল দেওয়া প্রসঙ্গে সুশোভনবাবু বিশ্বভারতীকে সর্মথন করে ছিলেন। এই নিয়ে বোলপুরের সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। এরপরই এই ঘটনা ঘটল। এদিকে, এদিনের ১২ ঘণ্টার রিলে অনশন বাতিল করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, অনিবার্য কারণবশত এই রিলে অনশন বাতিল করা হচ্ছে।
পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল দিচ্ছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এই পাঁচিল দেওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। তা নিয়ে রীতিমতো উত্তপ্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। মিছিল, পালটা মিছিল, বিক্ষোভ-ভাঙচুর চলছে। এই ভাঙচুরের ঘটনায় রাজনৈতিক ইন্ধনেরও অভিযোগ উঠেছে। এরপরই গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই দাবিতে এ দিন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও শিক্ষামন্ত্রকে চিঠি দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে পাঁচিল ভাঙার বিরোধিতা করেছিলেন পদ্মশ্রী প্রাপক সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “শান্তিনিকেতন নিজের জায়গায় পাঁচিল দিচ্ছে, তাতে কারওর আপত্তি থাকতে পারে না।” একইসঙ্গে তিনি শান্তিনিকেতনের ডাকবাংলো মাঠের প্রসঙ্গও টেনে আনেন। বলেন, “জেলা পরিষদ তো ওই মাঠ ঘিরে দিয়েছিল। তখন আমি বিরোধিতা করেছিলাম। তখন কেউ এগিয়ে আসেনি।” তাঁর এই মন্তব্যের জেরে ক্ষুব্ধ হন শান্তিনিকেতনের আমজনতা। এরপরই এই বিপত্তি ঘটল। ঘটনা প্রসঙ্গে সুশোভনবাবুর প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। উল্লেখ্য, পদ্মশ্রী পাওয়ার পর শান্তিনিকতনের সাধারণ মানুষ সুশোভনবাবুর জীবদ্দশায় আবক্ষ মূর্তিটি বসিয়েছিলেন। এদিন সেই মূর্তিতেই কালি ছেটানো হল।
বিশ্বভারতীর জট কাটাতে আজ, বুধবার বৈঠক ডেকেছেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা। কিন্তু সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা হাজির থাকবেন না বলে সোমবারই জানিয়ে দিয়েছিল। তারপরেও সেই বৈঠক এখনও বাতিল করেনি প্রশাসন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.