ধীমান রায়, কাটোয়া: যাদের বয়স আঠেরোর নিচে, তাদের ভোটাধিকার নেই। অথচ বুথে নজরদারি চালানোর দায়িত্ব যাদের, তাদের অনেকেই কিন্ত নাবালক! বিতর্ক তুঙ্গে বর্ধমানের আউশগ্রামে।
ঘটনা ঠিক কী? সোমবার চতুর্থ দফায় এ রাজ্যে পাঁচ জেলায় আটটি লোকসভা আসনে ভোট। ভোট হবে বীরভূমের বোলপুর ও বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রেও। আর এই বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, আউশগ্রাম বিধানসভা বুথের সংখ্যা ২৬৯। সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতে ভোট হবে ৪১টি বুথে। জানা গিয়েছে, ওই বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে বরাত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আউশগ্রামে ৪২টি বুথের জন্য ৫০ জনের বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা অপারেটর নিয়োগ করেছে ঠিকাদার সংস্থাটি। কিন্তু, যাদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাদের অনেকেই বয়স আঠেরোর নিচে বলে খবর। কেউ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে, তো কেউ আবার সদ্য উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছে। ভোটের কাজে নাবালকদের নিয়োগ করা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক।
বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত আউশগ্রাম বিধানসভা এলাকার বুথগুলিতে সিসিটিভি অপারেটর হিসেবে যে অপ্রাপ্তবয়স্কদের নিয়োগ করা হয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়েছে ঠিকাদারি সংস্থার আধিকারিক সুমিত দাস। তাঁর সাফাই, নির্বাচনে কাজ করার মতো পর্যাপ্ত কর্মী নেই। তাই বাধ্য হয়েই জুনিয়রদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সিসিটিভি অপারেটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যদিও ভোটের কাজে ব্যস্ততার কারণে কমিশনের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এ রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ করতে তিনটি ধাপে প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। প্রথমত, বুথে থাকে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বুথের ইভিএম সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সরাসরি পাঠানো যাবে কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে। আবার ভোট চলাকালীন বুথে যদি কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, তাহলে সেই ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করা হবে। অর্থাৎ ভিডিওগ্রাফিরও ব্যবস্থা থাকে বুথে। আর রাজ্যের স্পর্শকাতর বুথগুলিতে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলবে সিসিটিভির নজরদারিতে।
ছবি: জয়ন্ত দাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.