ছবি: প্রতীকী
মৃন্ময় লাহিড়ি, কোচবিহার: যারা সবথেকে কাছের, একেবারে রক্তের সম্পর্কের তারাই কেড়েছিল সম্ভ্রম। দিনের পর দিন চলছিল ধর্ষণ। মুখ খুললে দেওয়া হয়েছিল খুনের হুমকি। নিজের জ্যাঠা, জেঠতুতো দাদা ও প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছে কোচবিহারের এক স্কুলছাত্রী। কোচবিহার শহরের গান্ধীনগরের ওই নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। একজনের খোঁজ চলছে। পকসো আইনে ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
প্রায় চার বছর ধরে পাশবিক অত্যাচার। লাগাতার ধর্ষণ। কুকীর্তি ঢাকতে নাবালিকাকে জোর করে গর্ভনিরোধক ওষুধ খাইয়ে দেওয়া হত। ছোট্ট মেয়ে যাতে মুখ না খুলতে পেরে তার জন্য দেওয়া হয়েছিল খুনের হুমকি। এই ওষুধেই দিনের পর দিন নিজের ভাইঝির সঙ্গে এমন অপরাধ চালিয়ে গিয়েছিল কার্তিক নামের এক ব্যক্তি। তাতে সঙ্গ দিয়েছিল তার ছেলে রমেন এবং প্রতিবেশী চঞ্চল নামে এক ব্যক্তি। নিজের জ্যাঠা, জ্যাঠতুতো দাদা ও প্রতিবেশীর থেকে এমন আচরণে ভয়ে সিঁটিয়ে ছিল সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী। প্রাণের ভয়ে নিজের মা-বাবাকেও এই কথা জানায়নি ওই নিগৃহীতা। একদিন শ্রী হিন্দি বিদ্যালয়ের এই ছাত্রী নির্যাতনের কথা এক সহপাঠিনীকে জানিয়েছিল। স্কুলের প্রধান শিক্ষক এই পৈশাচিক ঘটনার জেরে স্তম্ভিত হয়ে যান। তারাই কোচবিহারের কোতোয়ালি থানায় বিষয়টি জানায়। পরে মেয়েটির পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ নির্যাতিতার জেঠু এবং এক প্রতিবেশীকে জালে তোলে। তবে ছাত্রীটির জেঠতুতো দাদা গা ঢাকা দিয়েছে। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। রবিবার ছুটি থাকায় অভিযুক্তদের জেল হেপাজতে রাখা হয়। সোমবার তাদের পকসো আদালতে পেশ করা হবে। কোচবিহারের গান্ধীনগরের এই ঘটনায় এলাকার বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত। নিজের ভাইয়ের মেয়ের সঙ্গে কেন এমন আচরণ করে কার্তিক তা তারা বুঝতে পারছে না। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে গোটা এলাকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.