সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার নাম করে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল টাকিতে। এই ঘটনায় অভিযোগের তির নির্যাতিতার চার বন্ধুর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, জোর করে মদ খাইয়ে অচেতন করার পর নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সবুজ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে হাসনাবাদ থানার পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার টাকির হাসনাবাদ এলাকায়।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে ওই নাবালিকা আত্মীয়র বাড়িতে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিল। রাস্তাতেই বন্ধু সবুজ মণ্ডলের সঙ্গে তার দেখা হয়। ছাত্রীর গন্তব্য জেনে নিয়ে তাকে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেয় ওই যুবক। এরপরই বন্ধুর বাইকে চেপে বসে নাবালিকা। অভিযোগ, আত্মীয়র বাড়িতে যাওয়ার বদলে ইছামতী নদীর দিকে চলতে থাকে বাইক। কিছুটা যাওয়ার পরই নাবালিকার সন্দেহ হয়। সে বারবার বন্ধুকে আত্মীয়র বাড়ির ঠিকানা বলতে থাকে। তবে তাতে কর্ণপাত করেনি ওই যুবক। একটা সময় শ্মশানে পৌঁছে নাবালিকাকে বাইক থেকে নামতে বাধ্য করে অভিযুক্ত। ততক্ষণে আরও তিন জন সেখানে জড়ো হয়েছে। এরপর নাবালিকাকে সামনে বসিয়ে রেখেই চার মক্কেল মদ্যপান করে বলে অভিযোগ। নাবালিকাকেও মদ খেতে বাধ্য করে। মদ্যপানের জেরে অচেতন হয়ে পড়ে সে। অভিযোগ, এই সময়ই চার বন্ধু ওই ছাত্রীর উপরে নারকীয় অত্যাচার চালায়। গণধর্ষণের পর নির্যাতিতাকে শ্মশানে ফেলে রেখেই চম্পট দেয় চার অভিযুক্ত। এদিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা অচেতন নাবালিকাকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানিয়ে দেন, ধর্ষিতা হয়েছে নাবালিকা। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুস্থ বোধ করলে নির্যাতিতা নিজেই বাড়ির ঠিকানা দেয়। এরপর খবর যায় বাড়িতে। একইসঙ্গে হাসনাবাদ থানাতেও খবর দেওয়া হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গোটা ঘটনাই খুলে বলে নির্যাতিতা। তার অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত সবুজ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে বাকিরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃত সবুজ মণ্ডলই নাবালিকাকে আত্মীয়র বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বাইকে তোলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.