ছবি: প্রতীকী।
শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: ফের বাংলায় ধর্ষণের শিকার নাবালিকা। এবার ঘটনাস্থল উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) কালিয়াগঞ্জ। গুরুতর জখম অবস্থায় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন কিশোরী। অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা কিশোরীর বয়স ১০ বছর। কালিয়াগঞ্জের রায়পুর এলাকার বাসিন্দা সে। মা ও ঠাকুমার সঙ্গে ওই বাড়িতে থাকত নাবালিকা। বাবা পরিযায়ী শ্রমিক। ফলে বাড়িতে থাকেন না তিনি। তার মা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেন অর্থ উপার্জনের জন্য। সূত্রের খবর, সম্প্রতি নাবালিকার বাড়ির একটি ফ্যান নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মা কাজে যাওয়ার আগে মিস্ত্রি ডেকে নাবালিকাকে সেটি ঠিক করতে বলে গিয়েছিলেন। শোনা যাচ্ছে, সেই কাজের জন্যই অভিযুক্ত কিশোর নাবালিকার বাড়িতে যায়।
সেই সময় বাথরুমে গিয়েছিল নাবালিকা। অভিযোগ, কিশোর তার পিছু নেয়। জোরপূর্বক নাবালিকাকে জড়িয়ে ধরে। কিশোরের হাত থেকে বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা করে নাবালিকা। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। সেখানেই কিশোর নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কাউকে কিছু না জানানোর নির্দেশও দেয়। নাবালিকাও প্রথমে ভয়ে বাড়িতে কিছু জানায়নি। এরপর নাবালিকার রক্তক্ষরণ শুরু হলে ঠাকুমার সন্দেহ হয়। এরপরই প্রকাশ্যে আসে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সোমবার রাতে নাবালিকাকে ভরতি করা হয়েছে হাসপাতালে। রাতেই হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
হাঁসখালি থেকে বোলপুর, নৈহাটি, রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে উঠে আসছে ধর্ষণের খবর। অভিযুক্তদের যৌন লালসার শিকার হচ্ছে নাবালিকারাও! কোথায় নারীদের নিরাপত্তা? কী ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। বারবার এমন প্রশ্ন তুলেই সরব হচ্ছে বাংলার বিরোধী দলগুলি। তবে প্রতিটি ঘটনাতেই গ্রেপ্তারির ক্ষেত্রে তৎপরতা দেখিয়েছে সরকার। তা সত্ত্বেও বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেই চলেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.