সঞ্জীব মণ্ডল, শিলিগুড়ি: নাবালিকা অপহরণের অভিযোগ উঠল এবার ইস্কনের সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে। আশ্রমে নাবালিকার সন্ধানে গিয়ে হেনস্তার শিকার তৃণমূলের মহিলা কর্মী ও সমর্থকরা। এই ঘটনায় অভিযোগের তির আশ্রমের সন্ন্যাসীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরে শিলিগুড়ির ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুরমার (পরিবর্তিত নাম) কোনও খোঁজ নেই। সে প্রায়ই ইস্কনের আশ্রমে আসত। সেখানকার একজন সাধুর সঙ্গেই কোথায় চলে গিয়েছে। এখবরও ছিল পরিবারের কাছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে মেয়েকে ফিরতে না দেখে আশ্রমের খোঁজ খবরের চেষ্টা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা ওই নাবালিকার খোঁজে আশ্রমে গিয়ে আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আশ্রমের সন্ন্যাসীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন আক্রান্তরা। শহরের বুকে ইস্কনের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ ও আক্রমণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আক্রান্ত মহিলাদের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরে সুরমার কোনও খোঁজ নেই। তার পরিবারের লোকজন বেশ কয়েকবার মেয়ের খবর জানতে ইস্কনের মন্দির লাগোয়া আশ্রমে আসেন। তবে তাঁদের কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি আশ্রমের সাধু সন্ন্যাসীরা। বাধ্য হয়েই স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও এলাকার কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানান নাবালিকার অভিভাবকরা। নাবালিকার নিখোঁজের ঘটনা দেখে শনিবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা ওই আশ্রমে আসেন। নাবালিকা এখন কোথায় আছে ভালভাবেই জানতে চেয়েছিলেন। অভিযোগ, উত্তর তো মেলেনি। উলটে মহিলা কর্মীদের উপরে সাধু সন্ন্যাসীরা চড়াও হন। তাঁদের বেধড়ক মারধরের সঙ্গে হুমকিও দেওয়া হয়। এরপরই সংবাদমাধ্যমে সামনে ক্ষোভ উগরে দেন আক্রান্তরা। সাফ জানিয়ে দেন। ইস্কনের মতো একটি আশ্রমের সঙ্গে নাবালিকা নিখোঁজের বিষয়টি জড়িয়েছে। তাই আশ্রমের সম্মানের কথা চিন্তা করে ভালভাবে জানাতে এসেছিলাম উলটে মারধর করা হল। এবার আশ্রমের সন্ন্যাসী প্রাণজীবন-সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি তাঁদের অভিযোগ, অপহরণ করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। পুলিশ তদন্ত করলেই ধরা পড়বে অভিযুক্ত। আশ্রমে আক্রান্ত হচ্ছেন মহিলারা। তাহলে ওই নাবালিকার অবস্থা কতটা আশঙ্কাজনক তার ঠিক নেই। মেয়েটিকে বিক্রিও করে দিতে পারে। বেঁচে আছে কি না তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আক্রান্ত মহিলারা। যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেনি পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.