সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল ১২ জনের বিরুদ্ধে৷ ঘটনাস্থল বীরভূমের পাড়ুই৷ ঘটনায় ইতিমধ্যে ছ’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই নাবালিকা৷ অভিযুক্তরাও আদিবাসী বলে সূত্রের খবর৷ বাকিদের খোঁজে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ৷ ঘটনার পর থেকেই এলাকার পরিস্থিতি থমথমে৷
[অমিত শাহ-র পর এবার রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, সভা শুভেন্দুর গড় মেদিনীপুরে]
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাতে৷ জানা গিয়েছে, ওই আদিবাসী নাবালিকাকে প্রথমে গণধর্ষণ করে অভিযুক্তরা৷ তারপর তাকে সেখানে ফেলে রেখেই চম্পট দেয় তারা৷ রক্তাক্ত অবস্থায় নির্যাতিতাকে ভরতি করা হয় হাসপাতালে৷ অভিযোগ দায়ের করা হয় পাড়ুই থানায়৷ অভিযোগের পেয়েই পদক্ষেপ নেয় পাড়ুই থানার পুলিশ৷ শনিবার সকালের মধ্যেই অভিযুক্তদের মধ্যে ছ’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ বাকিদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় চলছে তল্লাশি৷ ঘটনার সামনে আসতেই এলাকায় তৈরি হয়েছে আতঙ্ক৷ বিশেষ করে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত সকলে৷ এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে বাড়ি থেকে মেয়েদের বাইরে আসাই বন্ধ হয়ে যাবে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন গ্রামবাসীরা৷ দাবি উঠেছে দোষীদের চরম শাস্তির৷
[ভরতি প্রক্রিয়াকে ঘিরে সিউড়ির বিদ্যাসাগর কলেজে উত্তেজনা, পড়ুয়াদের বিক্ষোভ]
রাজ্যে পরপর গণধর্ষণের ঘটনায় কার্যত চিন্তার ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনের মাথায়৷ বৃহস্পতিবারই পেত্নী তাড়ানোর নামে এক মহিলাকে পাঁচদিন ধরে আশ্রমে আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল এক স্বঘোষিত সাধু ও তার দুই সাগরেদের বিরুদ্ধে। মালদহের রতুয়া থানার সামসি এলাকার একটি আশ্রমে আটকে রেখে অত্যাচার চালানো হয়েছিল তাঁর উপরে, পুলিশের কাছে এমনই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নির্যাতিতা মহিলা৷ তাঁর বাড়ি নদিয়া জেলায়। অসমের কামাক্ষ্যা থেকে নদিয়ার ওই গৃহবধূকে পেত্নী তাড়ানোর নাম করে মালদহে ডেকে আনা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷ ঘটনায় বৃহস্পতিবারই ওই আশ্রম থেকে সাধু-সহ মোট তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ৷ মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে নির্যাতিতার৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.