স্টাফ রিপোর্টার: ব্যক্তিগত ছবি ফাঁস হওয়ার জেরে আত্মহত্যা নাবালিকা ছাত্রীর৷ ঘটনাস্থল ফের সেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা৷ ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি প্রেমিক সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়ার জেরে দিনকয়েক আগে বিষ্ণুপুরে এক নাবালিকার আত্মহত্যার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের একই ঘটনা৷ এবার ঘটনাস্থল মন্দিরবাজার৷ একান্ত মুহূর্তের কিছু আপত্তিকর ছবি তুলে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেল করে প্রতিবেশী এক যুবক৷ তার কুপ্রস্তাব না মানায় সেই ছবি ফাঁস করে দেয় সে৷ অপমানের জেরে বুধবার রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় ওই ছাত্রী৷ ঘটনাটি ঘটেছে মন্দিরবাজার থানা এলাকার রামনারায়ণপুরে৷ ঘটনার জেরে ছাত্রীর মা অভিযুক্ত যুবক এবং তার মায়ের বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআর করেছেন৷ দুপুর পর্যন্ত যুবক গ্রেফতার হয়নি৷
মৃত ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, রঘুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত সে৷ ওই ছাত্রীর বাড়ির লাগোয়া বাড়িতেই থাকে অভিযুক্ত যুবক সৌমেন হালদার৷ হতদরিদ্র পরিবার৷ বেড়ার ঘর৷ আর সেই বেড়ার ফাঁক দিয়েই ছাত্রীটির স্নান ও পোশাক বদলের মুহূর্তের ছবি তোলে সৌমেন, এমনটাই অভিযোগ ছাত্রীর পরিবারের৷ পরিবারের আরও অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করত সৌমেন৷ এর পর অশ্লীল ছবি তুলে এই ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে সে৷ অভিযোগ, ওই ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ার কুপ্রস্তাব দেয় সে৷ দাবি না মানলে ওই ছবিগুলি ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেয়৷ ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে দেওয়ারও হুমকি দেয় সে৷
তবে তাতেও সৌমেনের কুপ্রস্তাবে রাজি হয়নি ওই নাবালিকা৷ এর পর ওই ছাত্রীর সহপাঠীদের অশ্লীল ছবিগুলি দেখায় সৌমেন৷ ঠিক যেমনভাবে বিষ্ণুপুরে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় নাবালিকা স্ত্রীর আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে তুলে দিয়েছিল স্বামী৷ সেই ছবি দেখার পর এবং সহপাঠীদের কাছ থেকে বিদ্রুপের পর অপমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় সতেরো বছরের স্ত্রী৷ একই ভাবে এই নাবালিকার স্কুলে বিষয়টি স্কুলে জানাজানি হলে বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয় তাকে৷ ঘটনার কথা জানতে পারে ছাত্রীর পরিবারও৷ লজ্জায়, অপমানে বুধবার রাতে নিজের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় সে৷ বৃহস্পতিবার সকালে মন্দিরবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৃত ছাত্রীর পরিবার৷ তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেতে পারেনি পুলিশ৷ ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে৷ অভিযুক্ত যুবককে দ্রুত গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.