রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: নাবালকের হাত-পা বাঁধা দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল কাঁথিতে। মৃতের নাম আনিশ পাত্র (১২)। ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় পাড়ার মণ্ডপে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে সে আর বাড়িতে ফেরেনি। গোটা রাতেই প্রচুর খোঁজাখুঁজি হলেও ওই ছাত্রের কোনও সন্ধান পাননি অভিভাবকরা। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে মাত্র কয়েকশো মিটার দূরেই ঝোঁপের মধ্যে থেকে আনিশের দেহ উদ্ধার হয়। সপ্তমীর সকালে পাড়ার হাসিখুশি ছেলের এই ভয়াবহ পরিণতিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির জুনপুট থানা এলাকার দৌলতপুর গ্রামে।
জানা গিয়েছে, স্থানীয় চাঁপাতলা হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র আনিশ। ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় পাড়ার ঠাকুর দেখার জন্য বায়না করতে থাকে। বাবা অলোক পাত্র সেই সময় মুকুন্দপুরের স্টুডিওতে ছিলেন। পুজোর দিনে মা আর ছেলেকে বাধা দেননি। নতুন জামা পরে বেশ খুশি মনেই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায় আনিশ। এদিকে রাত নামলেও ছেলে না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়েন তার মা। রাত ১০.১৫ নাগাদ বাড়ি ফিরে আসেন অলোকবাবু। তখনও ছেলে না ফেরায় একপ্রস্থ খোঁজাখুঁজি চলে। সংশ্লিষ্ট মণ্ডপে গিয়ে পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে নাবালকের খোঁজ করেন বাড়ির লোকজন। পুজো কমিটির তরফে জানানো হয়, ছেলেটিকে বেশ কিছুক্ষণ মণ্ডপে দেখা গিয়েছে। পরে সে কোথায় চলে যায় কেউ দেখেনি।
এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, হাত, পা মুখ বাধা অবস্থায় আনিশের দেহ ফেলে রাখা হয়েছে। গায়ের নতুন টি-শার্ট ছিঁড়েই তাঁর হাতদুটি বাঁধা এবং কোমরের বেল্ট দিয়ে বাঁধা হয়েছে পা। আর গায়ের স্যান্ডো গেঞ্জি ছিঁড়ে মুখে গুঁজে দেওয়া হয়েছে। একটি ছোট ছেলেকে এভাবে কেন খুন করা হল তা নিদে ধন্দে জুনপুট কোস্টাল থানার পুলিশ। মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই খুনের প্রকৃত কারণ জানা যাবে। সপ্তমীর সকালে এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.