সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গান্ধীঘাটে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে রাজ্যপালের আচরণ নিয়ে ইতিমধ্যেই তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। জগদীপ ধনকড়ের আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন আইপিএস অফিসার থেকে রাজ্যের মন্ত্রীরা। তাঁদের সঙ্গে রাজ্যপালের আচরণের সমালোচনায় সরব হয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় থেকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের বিরোধীতা করে বিতর্ক উসকে দিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।
বৃহস্পতিবার সকালে গান্ধীজির প্রয়াণ দিবসে গান্ধী মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানাতে বারাকপুরে গান্ধীঘাটে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেখান থেকে বেরনোর সময় বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মাকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন তিনি। বলেন, “প্রথম সারিতে বসে খবরের কাগজ পড়ছেন? এটা কী ধরনের আচরণ? আপনারা থাকেন কোথায়? লজ্জা হওয়া উচিত। উর্দি পরে আপনি যদি এটা করেন তাহলে অন্যরা আপনাকে দেখে কী শিখবে, কী করবে?” রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। রাজ্যপালের এইদিনের আচরণ নিয়ে সকাল থেকে শুরু সমালোচনা। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “কী হয়েছে গোটাটাই জানি। উনি পরিকল্পনামাফিক সকলকে অপমান করেছেন। ” এদিন সু্ব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, উনি আমাকে অপমান করলে আমি তার চারগুন করব। একইভাবে রাজ্যপালের আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যপালকে স্বাগত জানানোর জন্য আমি ও স্বরাষ্ট্রসচিব দাঁড়িয়েছিলাম। উনি পৌঁছতেই আমরা নমস্কার করি, কিন্তু উনি কথা না বলেই চলে যান।”
রাজ্য-রাজ্যপালের এই সংঘাতের মধ্যেই পুলিশের বিরোধিতা করে বিতর্ক উসকে দিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। মুখ্যমন্ত্রীকেও আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে কাউকে সম্মান করবেন না, সেই কারণেই পুলিশের এই আচরণ। এই ধরনের অফিসাররাই আবার পুলিশ মেডেল পাওয়ার জন্য কেন্দ্রের লোক ধরে।” বিজেপি নেতা বলেন, মনোজ ভার্মা রাজনীতির গুটি হয়ে গিয়েছেন। ওঁনার উর্দির সম্মান রক্ষা করা উচিত। বিজেপি নেতার এহেন মন্তব্যেই জোর জল্পনা শুরু রাজনৈতিক মহলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.