দেবব্রত দাস, পাত্রসায়র: ভোটে হেরেছেন। কিন্তু বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব তাঁকেই দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জয়পুরের হেতিয়া দলের কার্যালয় উদ্ধার করাই শুধু নয়, রীতিমতো ঝাঁট দিয়ে পরিষ্কার করলেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা।
রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। লোকসভা ভোটে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে তাঁকে প্রার্থী করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্ত, জিততে পারেননি তিনি। দলবদল করেও ফের বিষ্ণুপুর থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছে বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। এদিকে ভোটে বিপর্যয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনে বড়সড় রদবদল ঘটেছে। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী শ্যামল সাঁতরা।
তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, যেদিন লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশ হয়, সেদিন বিষ্ণুপুরের জয়পুর ব্লকের হেতিয়া দলের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় একদল দুষ্কৃতী। ভেঙে দেওয়া হয় পার্টি অফিসের সামনে শহিদ বেদি। এমনকী, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতেও কাদা লেপে দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পাঁচদিন পর, মঙ্গলবার শ’খানেক তৃণমূল কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে হেতিয়া বাজারের পার্টি অফিস পুনর্দখল করলেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামল সাঁতরা। শুধু তাই নয়, নিজেই জল ছিটিয়ে, ঝাঁট দিয়ে দলের কার্যালয়টি পরিষ্কারও করলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামল সাঁতরার বক্তব্য, ‘ভোটের ফল প্রকাশের দিন হেতিয়ায় আমাদের পার্টি অফিসটি দখল করে নিয়েছিল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। দলনেত্রীর নির্দেশে পার্টি অফিসটি দখলমুক্ত করেছি।’ আর বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি স্বপন ঘোষের দাবি, ‘তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে একাধিক গোষ্ঠী আছে। ভোটের ফলপ্রকাশের দিনে বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোকেরাই পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল বলে শুনেছি। ভোটে হেরে সহানুভূতি আদায়ের জন্য মিথ্যা অভিযোগ করছে তৃণমূল।’
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.