অরূপ বসাক, মালবাজার: লোকসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার করার জন্য জনসংযোগই হাতিয়ার৷ বিরোধী হোক কিংবা শাসকদল, প্রত্যেক প্রার্থী কাজে লাগাচ্ছেন এই ফর্মুলা৷ ভোটপ্রচারে যদিও বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল৷ অন্তত রাজনীতির কারবারিদের দাবি এমনই৷ উত্তরে হাইভোল্টেজ প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে৷ জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের প্রার্থীর সমর্থনে ইতিমধ্যেই প্রচার সেরেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো স্বয়ং৷ এবার আলিপুরদুয়ারের প্রার্থী দশরথ তিরকের প্রচারে মালবাজারের চা বাগানগুলিতে ঘুরলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুনলেন শ্রমিকদের সমস্যার কথা৷ ভোট মিটলে সমাধানের ইঙ্গিতও দিলেন তিনি৷
আলিপুরদুয়ারের ভূমিপুত্র দশরথ তিরকে৷ নির্বাচনী লড়াইয়েও রিপোর্ট কার্ড বেশ ভাল৷ ইতিমধ্যেই একবার বিধায়ক এবং তিনবার সাংসদ হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে৷ চা-বাগান লাগোয়া এলাকাগুলিতে দিব্যি আসাযাওয়া রয়েছে তাঁর৷ সময়ে-অসময়ে পাশে দাঁড়ানোর সুবাদে শ্রমিকমহলে তাঁর জনপ্রিয়তাও যথেষ্ট৷ সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে তাই বিশ্বস্ত সৈনিকের উপরেই আস্থা রেখেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের পর এবারও আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে দশরথ তিরকেকে৷ তাঁর সমর্থনেই শুক্রবার মালবাজারের মেটেলি ব্লকের বিভিন্ন চা বাগানে ঘুরে ঘুরে প্রচার সারলেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মন্ত্রীকে দেখেই তাঁকে ঘিরে ধরেন চা বাগানের শ্রমিকরা৷ নানা সমস্যার কথা মন্ত্রীকে জানান তাঁরা৷ শ্রমিকদের অভিযোগ, বাগানের যাতায়াতের রাস্তা একেবারেই খারাপ৷ প্রায় আট কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে প্রতিদিন কাজে যোগ দিতে হয় বলেও অভিযোগ তাঁদের৷ এলাকার জল, শৌচালয় এবং রাস্তা তৈরিরও দাবি জানান মহিলা শ্রমিকরা৷
রোদে দাঁড়িয়ে থাকলেও, স্থানীয়দের কথা শুনতে এতটুকুও বিরক্তি প্রকাশ করেননি মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মন দিয়ে সমস্যার কথা শোনেন তাঁরা৷ নির্বাচনের আগে কোনও প্রতিশ্রুতি দিলে তা আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে বলেই চা শ্রমিকদের বুঝিয়ে বলেন মন্ত্রী৷ নির্বাচনের পর সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি৷ নাম না করে বিরোধীদের সমালোচনা করে সেচমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওরা মিথ্যাবাদী৷ আমরা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিই না৷ যা বলি তা করে দেখাই৷’’ রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ানও তুলে ধরেন তিনি৷ সব শেষে উন্নয়নের স্বার্থে দশরথ তিরকেকে ভোটদানের আরজি জানান সেচমন্ত্রী৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.