সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রচারে গিয়ে মেজাজ হারালেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকার উত্তর একটিয়াশাল এলাকায় গিয়ে মহিলাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। প্রশ্নের মুখে মেজাজ হারান মন্ত্রী। যদিও পরে শান্তভাবে সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দেন তিনি। এই নিয়ে তৃতীয়বার নিজের এলাকায় কর্মসূচির প্রচার সারলেন গৌতম দেব।
লোকসভা ভোটে আশানুরূপ ফল হয়নি। তাই বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে তৃণমূল কংগ্রেস ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি শুরু করেছে শাসকশিবির। এখন সমস্যা হলেই মুখ্যমন্ত্রী স্রেফ ফোনের ওপারে। সরকারের কাজে কোথায় ফাঁকফোকড় রয়ে গিয়েছে, কোথায় ঠিকঠাক পরিষেবা মিলছে না, জনগণের কাছ থেকে এসব খবর আদায় করতে আদাজল খেয়ে লেগে পড়েছে শাসকদল তৃণমূল। আর তাই আনুষ্ঠানিকভাবে ‘দিদিকে বলো’ পরিষেবাকে জনতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে স্বভাবতই দলের নেতা-কর্মীরা নেমে পড়েছেন ময়দানে।
নির্দেশ মেনে সোমবার ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রচারে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভার শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর একটিয়াশাল এলাকায় যান পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। স্থানীয়দের সমস্যার কথা শোনেন। মঙ্গলবার সকালে ওই এলাকায় বেরোন তিনি। সেই সময় হঠাৎ বেশ কয়েকজন মহিলা তাঁকে ঘিরে ধরেন। তাঁরা অভিযোগ জানান, ৪০ বছর ধরে ওই এলাকায় বাস করলেও তাঁদের কারও জমির পাট্টা নেই। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে তাঁদের পাট্টার ব্যবস্থা করতে হবে। দীর্ঘক্ষণ ধরে মন্ত্রীকে আটকে বিক্ষোভ চলতে থাকায় মেজাজ হারান গৌতম দেব। যদিও পরে স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘শিলিগুড়ি পুরনিগম আমাদের দখলে নেই, তাই চাইলেই আমাদের পক্ষে সব কিছু করা সম্ভব নয়। তবে আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গোটা বিষয়টি জানাবো। মুখ্যমন্ত্রীকেও বলবো।’’ এরপরই এলাকা ছাড়েন মন্ত্রী।
এর আগেও ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রচারে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের তাবড় তাবড় নেতাদের। কোথাও গিয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁদের। কেউ আবার রাজ্য সরকারের প্রকল্পের প্রশংসা করেছেন। কিন্তু এদিনের ঘটনার ঠিক কী প্রভাব পড়বে সকলের উপর তা ভাবাচ্ছে দলকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.