নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে এবার ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে আক্রমণ করলেন রাজ্যের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শনিবার তিনি বলেন, যদি ভারতের দ্রাবিড় সংস্কৃতি ধরে হিসাব করা হয় তাহলে অমিত শাহ নিজেই অনুপ্রবেশকারী হিসাবে চিহ্নিত হবেন।
রমারঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের সপ্তম স্মারক বক্তৃতা দিতে শনিবার সিউড়ি আসেন ব্রাত্য বসু। বাংলা নাটকের গতি প্রকৃতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি বঙ্গবাসীর ‘অস্মিতা’র কথা তুলে ধরেন। সে প্রসঙ্গেই এদিন কলকাতায় অমিত শাহের জনসভায় বাঙালিদের উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া বিজেপির হিন্দিবাসীদের সংস্কৃতির কথা তোলেন। ব্রাত্য বসু বলেন, “অমিত শাহ শনিবার কলকাতা এসে ভাষণ দিলেন। একটুকরো বাংলা বলতে পারতেন না? একবার তা বলার চেষ্টাও করেননি।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, অসমে নাগরিকপঞ্জি নিয়ে যে বিজেপি বড় লড়াই করছে, সেটা কেন গুজরাট থেকে শুরু করা হয়নি? কেন কাশ্মীরে তা করা হয় না?’ ব্রাত্য বসু বলেন, যদি গুজরাটে করা হয়, তাহলে দেখা যাবে অমিত শাহ-সহ অনেকেই অনুপ্রবেশকারী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসম নিয়ে অন্দোলনে বিজেপি চিন্তিত। কারণ তাঁর মতে মানবিকতা ও সহমর্মিতার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসমের নাগরিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাই তাঁর পাশে গোটা বাংলার দাঁড়ানো উচিত বলে দাবি ব্রাত্য বসুর।
এদিন মেয়ো রোডে সভায় এনআরসিকেই হাতিয়ার করেছিলেন অমিত শাহ। হাজারো মানুষকে সাক্ষী রেখে তৃণমূল কংগ্রেস তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচ্ছেদের ডাক দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এনআরসি ছাড়া অন্য ইস্যুতে অবশ্য সুর খুব একটা চড়াননি তিনি। তবে, পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে সরব হন। দাবি করেন, পঞ্চায়েত ভোটে ৬৫ জন বিজেপি কর্মকর্তাকে খুন করা হয়েছে। এই হিসেবেও কিছুটা গড়মিল করে ফেলেন তিনি। কারণ তাঁর আগের বক্তা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছিলেন বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২৭ জন বিজেপি কর্মী মারা গিয়েছেন। অমিতের বক্তব্যে কী করে সেই ২৭ হয়ে গেল ৬৫, প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। সঙ্গে যে ইস্যুতে প্রধান অস্ত্র করেছিলেন অমিত শাহ, সেই এনআরসি প্রসঙ্গেও খোঁচা খেতে হল তাঁকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.