চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: দখল হয়ে যাওয়া কার্যালয় পুনরুদ্ধারে রবিবার বারাবনিতে পৌঁছলেন সাংসদ তথা মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, বিজেপি নেতা মকুল রায় ও শঙ্কুদেব পণ্ডা। বারাবনির গৌরাণ্ডি হাটতলার কাছে গিয়ে ভাঙচুর হয়ে যাওয়া বিজেপির কার্যালয় পরিদর্শন করেন তাঁরা। সেই কার্যালয়েই নতুন করে দলীয় পতাকা লাগান। এরপর বাইক মিছিল করে গৌরাণ্ডি হাটতলা মোড়ে পৌঁছন। সেখান থেকে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক, ব্লক সভাপতি ও পুলিশকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপি নেতারা।
রবিবার সকাল থেকেই নুনী মোড় থেকে গৌরাণ্ডি পর্যন্ত ঘিরে ফেলেছিল বিশাল বাহিনী। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের এডিসিপি ও এসিপির নেতৃত্বে ব়্যাফ-সহ বিশাল বাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যেই বারাবনিতে পৌঁছন তিন বিজেপি নেতা। নুনীর বৈঠক সেরে তাঁরা চলে যান গৌরাণ্ডি। সেখানে ভেঙে যাওয়া পার্টি অফিস পরিদর্শন সেরে সমাবেশে যোগদান করেন তাঁরা। এদিন তৃণমূল নেতৃত্বকে উদ্দেশ্য করে বাবুল বলেন, “যত ভাঙবি, তত হারবি”। তিনি অভিযোগ করেন, “পুলিশকে ব্যবহার করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার চলছে রাজ্যে। পুলিশকে ব্যবহার করেই বিরোধীদের ওপর সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। এক বছরের মধ্যেই এই পরিস্থিতির বদল ঘটবে।”
তৃণমূলকে উদ্দেশ্যে করে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, “পার্টি অফিস ভেঙে ভোট জেতা যায় না। লোকসভা ভোটেf ভাঙচুরের মতো নোংরামির যোগ্য জবাব দিয়েছেন আসানসোলের মানুষ।” ভেঙে যাওয়া ওই কার্যালয়ই দোতলা হবে, এমনটাও ঘোষণা করেন বাবুল। বিজেপি নেতা মুকুল রায় অভিযোগ করেন, পুলিশকে সামনে রেখেই বিজেপির কার্যালয় ভাঙছে তৃণমূল। তিনি বলেন, এক মাসের মধ্যে পুলিশকেই কার্যালয় মেরামত করিয়ে দিতে হবে।
বাবুল বলেন, “আসানসোলের সাতটি বিধানসভা তো বটেই, বারাবনি থেকেও তৃণমূল হেরেছে। একথা তৃণমূল নেতৃত্বের মাথায় রাখা উচিৎ।” পুলিশের পোশাক নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “পুলিশ মাথায় ক্রিকেটের হেলমেট, পায়ে নি-প্যাড, হাতে এলবো-প্যাড, বিশাল ঢাল নিয়ে এককিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়ে আছেন।” মুকুল রায় বলেন, “আমি শুনলাম বারাবনির ওসির সামনেই ভাঙচুরের ঘটনা এই ঘটনা ঘটেছে। নক্কারজনক এমন ঘটনা ভারতবর্ষের কোথাও হয় না। শুধুমাত্র হচ্ছে পশ্চিম বাংলায়।” সভা থেকেই পুলিশকর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে মুকুল রায় বলেন, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মেয়াদ আর একটি বছর। তাই আপনারা আইনকে সম্মান করে মানুষের হয়ে কাজ করুন। তৃণমূলের তাবেদারি বন্ধ করুন।
এদিন বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় ও বারাবনি ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অসিত সিংকেও কটাক্ষ করেন মুকুল রায়। পালটা দেন বারাবনির বিধায়ক। মুকুল রায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “পাগলে কী না বলে, ছাগলে কী না খায়! হেরে যাওয়ার ভয়ে উনিই পাগলের প্রলাপ বকছেন।” তৃণমূল ব্লক সভাপতি অসিত সিং বলেন, “ওই পার্টি অফিস আমরা ভাঙিনি। দখলও করিনি। ওদেরই গোষ্ঠীদ্বন্দে ওই ঘটনা ঘটেছে।”
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.