রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: রাজ্যের বকেয়া ১০৮টি পুরসভার দিনক্ষণ ঘোষণার পরই প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করে তৃণমূল। আর তা নিয়েই যত বিভ্রান্তি। প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ খোদ মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri)।
প্রার্থীতালিকা প্রকাশের পরই মৎস্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। ক্ষোভ প্রশমনে নিজে হাতে ব্যাটন ধরেন মন্ত্রী। তিনি জানান, “আমি দলের তৈরি করা কাঁথি-এগরা নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক। ৫ জনের কমিটি। আমি প্রত্যেক ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীদের নিয়ে আলোচনা করেছি। সেইমতো দলকে প্রার্থীতালিকা পাঠিয়েছে। সে কপি আমার কাছেও আছে। প্রয়োজনে দেখতে পারেন। তাতে দল অনুমোদন দেয়নি। তার ফলে স্বাভাবিকভাবেই সকলের ক্ষোভ বাড়ছে। এখনও ‘দাদার অনুগামী’ বলে যাঁরা পরিচিত, তাঁরা প্রার্থীতালিকায় কীভাবে জায়গা পেলেন জানিনা? আমি তালিকা দেখে মর্মাহত। তাই ভেবেছি কনভেনার পদ ছেড়ে দেব। আপনারা শান্ত হোন।”
তালিকা প্রকাশের পর ৭, ১০ এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থীতালিকা নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়। ওই তিন ওয়ার্ডের প্রার্থী হিসাবে নাম রয়েছে অতনু গিরি, দিলীপকুমার মাইতি এবং তরুণকুমার বেরার। এই তিনজনই মাঝে পদ্মশিবিরে নাম লেখান। তারপর আবার তৃণমূলে ফিরে আসেন তাঁরা। আর দলে ফেরার পরই পুরভোটের টিকিটও পান। আর তাতেই অসন্তোষ দানা বেঁধেছে।
যদিও শাসক শিবিরের তরফে অখিল গিরির দাবি প্রসঙ্গে পালটা কিছুই জানা যায়নি। তবে প্রকাশিত প্রথম তালিকা নিয়ে শুক্রবার সন্ধেয় তৃণমূল নেতৃত্ব জানায়, দু’রকমের প্রার্থীতালিকা ভাইরাল হয়েছে। একটি তালিকায় দলের শীর্ষনেতৃত্বের কারও সই নেই। ভাইরাল অপর প্রার্থী তালিকায় সই রয়েছে ঠিকই। তবে তাতে নেই কোনও তারিখের উল্লেখ। এই দুই তালিকাই ভুয়ো বলে দাবি করা হয়। এমনকি রাতেই শীর্ষ নেতৃত্বের সই করা প্রকৃত তালিকা বিভিন্ন জেলায় পাঠিয়ে দেওয়াও হয়। তবে কীভাবে ভুয়ো তালিকা ভাইরাল হল, তা শাসক শিবিরের তরফে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.