ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ও সোমনাথ রায়: বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) গড়ে ভাঙন ধরাল তৃণমূল। খড়গপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি শ্রমিক সংগঠনের ৫০ জন নেতাকর্মী বুধবার যোগ দিলেন তৃণমূলে। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
এদিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মানুষের একটা অংশ গত লোকসভা ভোটে আমাদের সমর্থন করেননি। এখন তাঁরা আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন। বিজেপির (BJP) উপর মানুষ আস্থা হারাচ্ছেন। তাই খড়গপুরের উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে আশীর্বাদ করেছেন মানুষ। প্রদীপ সরকার ভোটে নির্বাচিত হন। যাঁরা এদিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সজল রায়, অজয় চট্টোপাধ্যায়,রাজদিপ, শৈলেন্দ্র সিং প্রমুখ। বিজেপির বিভিন্ন পদের দ্বায়িত্ব সামলেছেন তাঁরা।”
এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। তৃণমূল নেত্রী বলেন, “দিলীপবাবুর দল বিজেপি আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য রাস্তায় নেমেছে। রাজ্যের অধিকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। এবিষয়ে অমিত শাহের নাক না গলানোই ভাল।” চন্দ্রিমা আরও বলেন, “বাংলার মানুষকে ওরা অপমান করেছে। আসন্ন নির্বাচনে আগের থেকে বেশি সমর্থন করবে মানুষ।” বিজেপি ও রাজ্যপালের অভিযোগ প্রসঙ্গ তিনি বলেন, “সংবিধানকে নিজেদের এক্তিয়ারে নিতে চাইছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। সব করায়াত্ত্ব করতে চাইছে কেন্দ্র। তৃণমূল কংগ্রেস তা মেনে নেবে না। প্রতিবাদ করবে। লড়াই করবে। কৃষকদের স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই আগেও করেছেন। কৃষকদের স্বার্থে তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস লড়াই করবে।” তিনি আরও বলেন, “তৃণমূল শুধু নয়। কংগ্রেস, সিপিএম-সহ বিজেপি বিরোধী সকলেই রাস্তায় নেমেছেন কৃষক বিরোধী আইনের বিরুদ্ধে।”
এই দলবদলের প্রসঙ্গে পালটা তোপ দেগেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “কিছু লোককে টাকা, চাকরি, পদের লোভ দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছে। তাতে বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.