Advertisement
Advertisement

Breaking News

Asansol

ডাম্পিং ড্রাউন্ডের তলায় খনি, হাওড়ার মতো অবস্থা হবে না তো? আতঙ্ক বাড়ছে আসানসোলে

জাতীয় সড়কের পাশে থাকা বড় দুটি ডাম্পিং গ্রাউন্ড চিন্তা বাড়াচ্ছে শহরবাসীর।

Mines under dumping ground, Panic is growing in Asansol

এই ডাম্পিং ড্রাউন্ড নিয়েই বাড়ছে দুশ্চিন্তা। নিজস্ব চিত্র

Published by: Suhrid Das
  • Posted:March 25, 2025 5:27 pm
  • Updated:March 25, 2025 5:27 pm  

শেখর চন্দ্র, আসনসোল: আসানসোলের ৪০টি ওয়ার্ডের জঞ্জাল ফেলা হয় কালিপাহাড়ির ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। প্রত্যেক দিন ১২০ গাড়ি আবর্জনা ৪০টি ওয়ার্ড থেকে সংগ্রহ করে ফেলা হয় এখানে। তবে কী অপেক্ষা করছে হাওড়ার মতো ঘটনা?

হাওড়া ডাম্পিং গ্রাউন্ডে বিস্ফোরণ। যার ফলে একাধিক বাড়িতে দেখা দিয়েছে ফাটল। আতঙ্কে এলাকা ছেড়েছে বহু পরিবার। আর এই ঘটনার পর আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে আসানসোল শিল্পাঞ্চলের মানুষ। কারণ, আসানসোলে রয়েছে দুটি বড় বড় ডাম্পিং গ্রাউন্ড।

Advertisement

কয়লা খনি এলাকা বলেই পরিচিত আসানসোল। এখানে ধস, ফাটল নতুন কোনও ঘটনা নয় এই খনি এলাকা আসানসোলে। কিন্তু কালীপাহাড়ি এলাকায় জাতীয় সড়কের পাশে থাকা বড় দুটি ডাম্পিং গ্রাউন্ড চিন্তা বাড়াচ্ছে শহরবাসীর। এই দুটি ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পাহাড়ের স্তুপের মতো আর্বজনা রয়েছে। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে জাতীয় সড়কের দু’পাশেই আবর্জনার ফেলা হয় এই ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। এই ডাম্পিং গ্রাউন্ডের পাশেই রয়েছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক। এমনকী ডাম্পিং গ্রাউন্ডের পাশে কিছু জনবসতি এলাকাও রয়েছে। যদি হাওড়ার মতোই আসানসোলে কোন ঘটনা ঘটলে ক্ষতি হবে জাতীয় সড়কে, প্রভাব পড়বে যান চলাচলে। এমনকি জনবসতি এলাকাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। প্রসঙ্গত ২০০৭ সালে কালিপাহাড়ির এই ডাম্পিং গ্রাউন্ডের পাশেই বড় ধসের ঘটনা ঘটেছিল। ব্রিটিশ আমলের খনি রয়েছে এই ডাম্পিং গ্রাউন্ডের নিচে। এর আগে ধসের পাশাপাশি মিথেন গ্যাসও বেরিয়েছে এখানে। এর জেরে সরাসরি প্রভাব পড়েছিল জাতীয় সড়কে। একাধিক ফাটলও দেখা দিয়েছিল জাতীয় সড়কে। ফের জাতীয় সড়কে ফাটল দেখা দিলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া মিথেন গ‌্যাস বের হলে এলাকায় অঘটন আরও বাড়তে পারে। তাই হাওড়ার ঘটনার পর আরও বেশি চিন্তা বাড়াচ্ছে শহরবাসীর।

বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের অভিযোগ, এখানেও হাওড়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, ‘‘ওই দুটি ডাম্পিং গ্রাউন্ডের নিয়ন্ত্রণ আর পুরনিগমের হাতে নেই। ওখানের রিসাইক্লিন সুডা নিয়ন্ত্রণ করছে। তাই গাফিলতি থাকলেও আসানসোল পুরনিগম কিছু করতে পারবে না। কলকাতা সেই ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে। আবার বিপর্যয় নামলে দায় এসে পড়বে সরাসরি আসানসোল পুরনিগমের ওপর।’’ বিরোধীদের অভিযোগ, পুরনিগমের এই শহরকে নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনা নেই। এই ডাম্পিং গ্রাউন্ড এখন শহরবাসীর কাছে আতঙ্কের। অথচ এই বর্জ‌্য পক্রিয়াকরণ নিয়ে নানা প্রকল্প আছে। সেই সব প্রকল্প নিয়ে পুরনিগমের পরিকল্পনা নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে বর্তমান বোর্ডের সদর্থক ভূমিকা নেই। তবে আসানসোলে হাওড়ার মতো ঘটনা ঘটার আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন আসানসোল পুরনিগম কতৃপক্ষ। ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক বলেন, ‘‘এখানে সেরকম সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এখানকার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আধিকারিকরা সারা বছরই পরিদর্শন করেন।’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
News Hub