সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে উন্নয়নের প্রভাবের কথা শোনা গেলেও একাধিক সড়কের অবস্থা যে সঙ্গীন, তা কলকাতা ছাড়িয়ে দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতে সড়কপথে গেলেই টের পাওয়া যায়। যেই মর্মে দিন কয়েক আগেই বেহাল রাস্তার অবস্থা নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কিন্তু রাজ্যপালের সেই মন্তব্যের দিকে কর্ণপাত করা তো দূরের কথা, সেভাবে কোনওরকম মন্তব্যই করতে শোনা যায়নি তৃণমূলের কাউকেই। তবে এবার রাস্তার সেই বেহাল দশা নিয়েই সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। রাস্তা সংস্কারের আবেদন জানিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে একটি চিঠিও দিয়েছেন সাংসদ।
সূত্রের খবর, দীর্ঘ দিন ধরেই বেহাল দশা বারুইপুর-কামালগাজি বাইপাসের। বিগত প্রায় এক বছর ধরেই পিচ উধাও সেই রাস্তার। কঙ্কালসার রাস্তায় খালি ইট বিছানো। বৃষ্টির জলে ধুয়ে গিয়ে অবস্থা আরও সঙ্গীন। একাধিক জায়গায় তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। বর্ষার দিনে সেই ভোগান্তি আরও দ্বিগুণ হয়। আর গাড়ি নিয়ে সেই রাস্তা দিয়ে যাওয়াই এখন বিভীষিকাময় ঠেকছে যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর কাছে। স্থানীয় লোকজনের কথায়, এতটাই দুর্দশা সেই রাস্তার যে প্রায় নিত্যদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও লাভ হয়নি কিছুই। নিজস্ব সংসদীয় এলাকা হওয়ায় সেই অঞ্চলের মানুষদের ভোগান্তি এখন সাংসদ মিমিরও মাথাব্যথার কারণ। রাস্তাঘাট নিয়ে প্রচুর অভিযোগ আসছে তাঁর কাছে। আর তাই রাস্তার দ্রুত মেরামতির আরজি জানিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি দিলেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ।
প্রসঙ্গত, বাম আমলে তৈরি করা হয়েছিল বারুইপুর-কামালগাজি বাইপাস। কারণ, গড়িয়া থেকে বারুইপুর পর্যন্ত রাস্তা চওড়া করার কোনও উপায় ছিল না। কিন্তু গড়িয়া এবং ওই দিককার শহরতলী থেকে এদিকে আসার যানবাহনের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায়, নিত্যদিন যানজটে পড়তে হত। অগত্যা সেই রাস্তা তৈরি হয়। যার পুরোভাগে ছিলেন তৎকালীন সাংসদ সুজন চক্রবর্তী। যার ফলে, সোনারপুর, সুভাষগ্রাম থেকে বারুইপুরের মানুষদের যে বেশ সুবিধে হয়েছিল, তা বলাই বাহুল্য। সেই রাস্তা মেরামতি করার আবেদন জানিয়ে ববি হাকিমকে চিঠি দিলেন মিমি চক্রবর্তী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.