অভিষেক চৌধুরী, কালনা: বিধি ভেঙে মাধ্যমিক পরীক্ষার (Madhyamik Exam) সময় তারস্বরে বক্স বাজিয়ে চলছিল ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি। আর এমন ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’ কাজ করায় মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর (Siddiqullah Chowdhury) রোষের মুখে পড়লেন দলের নেতা-কর্মীরা। শুধু তাই নয়, মন্তেশ্বরের ওই কর্মসূচিতে গিয়েই বক্স বন্ধ করার নির্দেশ দেন তিনি। রবিবাসরীয় দুপুরে মন্তেশ্বরে এই ঘটনার জেরে উসকে ওঠে বিতর্ক। মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, “মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। আমরা শাসকদলে আছি, আইনভঙ্গ করার প্রশ্ন নেই। তাই মিছিলে বক্স ব্যবহার নয়।”
রবিবার মন্তেশ্বরের (Manteswar) মাইচপাড়ায় থাকা দেবী চামুণ্ডার মন্দিরে পুজো দিয়ে তৃণমূলের নেতা ও কর্মী, সমর্থকরা ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ (Didir Suraksha kabach) কর্মসূচি শুরু করেন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ। প্রথমদিকে মন্তেশ্বরের তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) ব্লক সভাপতি আজিজুল শেখ ও পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আহম্মদ হোসেন শেখের নেতৃত্বে কর্মসূচি শুরু হয়। সেই জনসংযোগে টোটোর ছাদে রাখা দুটি বক্সে কর্মসূচি সংক্রান্ত স্লোগান চলছিল, গানও চলছিল। ওই টোটোটিকে সামনে রেখে তৃণমূল নেতা কর্মীরা এলাকার মানুষজনের সমস্যার কথা শুনতে থাকেন।
ঘন্টাখানেক এভাবে চলার পর কামারশাল মোড়ে মন্তেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী উপস্থিত হন। মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় বক্সে গান বাজিয়ে এই কর্মসূচি হওয়ার কারণে বিধায়কের চোখ কপালে ওঠে। তিনি ক্ষুব্ধ হন। বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে বক্স বন্ধের নির্দেশ দেন। সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ হয়ে যায় বক্স। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, “ঘেরাঘুরি জায়গায় বক্স মিডিয়ামে আওয়াজে ব্যবহার করা যেতে পারে। মানুষের অতি উৎসাহর থেকে পরীক্ষাটা আমাদের কাছে বেশি গুরুত্ব রাখে।” ব্লক সভাপতি আজিজুল শেখের কথায়, “এই কর্মসূচিতে জল, বক্স সবধরনেরই ব্যবস্থা থাকে, যদি প্রয়োজন লাগে। এদিন নিয়মশৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়,এমন কোনও কাজ করা হয়নি।”
এদিন এই কর্মসূচিতে বিধায়ককে কাছে পেয়ে বেশ কিছু রাস্তা নতুন করে নির্মাণ করা থেকে মন্তেশ্বরে খড়ি নদীর ধারে শ্মশানের রাস্তা ও ঘর মেরামত করে শ্মশান চালু করার আবেদন জানান। মন্ত্রী আশ্বাস দেন। এদিন মন্ত্রী পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে কিছুক্ষণ থেকে মন্তেশ্বর হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। সেখানে মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিডিও গোবিন্দ দাস সহ চিকিৎসক ও নার্সরা। মন্ত্রী জানান,“এই হাসপাতালকে উন্নত গ্রামীণ হাসপাতালে পরিণত করা যায় তার প্রচেষ্টায় আছি। এখানে ৪০ লক্ষ টাকা বিধায়ক তহবিল থেকে দিয়েছি। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হয়ে যাবে। এছাড়াও হাসপাতালের ভিতরের যে রাস্তা সেটা থেকে করার জন্য পঞ্চায়েত সমিতিকে জানানো হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.