ফাইল চিত্র
বিক্রম রায়, কোচবিহার: নিজের এলাকার শিল্প মেলায় আমন্ত্রণ পেলেন না স্বয়ং বিধায়ক মিহির গোস্বামী (Mihir Goswami)! আমন্ত্রণ পত্রে নাম নেই জেলার বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকেরও। তবে আমন্ত্রিতের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন কোচবিহার উত্তরের ফরওয়ার্ড ব্লকের বিধায়ক। পুরসভার এহেন আচরণে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ মিহিরবাবু। দলবদলের কারণেই এই ঘটনা, মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
২৯ নভেম্বর কোচবিহারের মদনমোহন বাড়িতে শুরু হয়েছে রাস উৎসব। তবে করোনার কারণে এবছর হচ্ছে না রাস মেলা। তার পরিবর্তে মহারাজা জিতেন্দ্র নারায়ণ স্টেটিয়ামে হচ্ছে শিল্প মেলা। সেই মেলার আমন্ত্রণ পত্র নিয়েই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। কারণ, পুরসভা পরিচালিত এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি তৃণমূল ছেড়ে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। ওই আমন্ত্রণ পত্রে নাম নেই সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকেরও। তবে সমস্ত তৃণমূল বিধায়কের পাশাপাশি এবার আমন্ত্রিতের তালিকায় রয়েছেন বাম বিধায়ক নগেন রায়। এই বিষয়টিকে মোটেও ভালভাবে নেননি মিহির গোস্বামী ও নিশীথ প্রামানিক।
মিহির গোস্বামীর কথায়, “এরকমটা আগে বামেরা করত। তাঁদের কোনও অনুষ্ঠানে বিরোধীরা আমন্ত্রণ পেতেন না। তৃণমূলও এখন সেই পন্থা নিয়েছে।” এপ্রসঙ্গে নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “এটাই তৃণমূলের ট্র্যাডিশান। কার সঙ্গে কীরকম আচরণ করতে হয় তা ওদের জানা নেই।” যদিও রাজনৈতিক কারণে আমন্ত্রণ পত্র থেকে বিধায়ক ও সাংসদের নাম বাদ দেওয়া হয়নি বলেই দাবি কোচবিহার পুরসভার প্রশাসক ভূষণ সিংহয়ের। তাঁর কথায়, সাংসদ ও বিধায়কের সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাই জন্যই আমন্ত্রণপত্রে তাঁদের নাম রাখা হয়নি। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.