স্টাফ রিপোর্টার: দিনে গরম, রাতে আর ভোরের দিকে ঠান্ডার আমেজ। জানুয়ারির মাঝেই উধাও শীত। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাড়ছে হু-হু করে। আর তাতেই দিনের বেলায় গায়ে গরম জামাকাপড় রাখতে রীতিমতো ঘামতে হচ্ছে। একধাক্কায় তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। আগামী কয়েকদিন দিনের বেলা তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরও জানিয়েছে শীতের মেয়াদ আর বেশিদিন নেই। আগামী কয়েকদিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করবে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হবে ২৭ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা দেখা যাবে দক্ষিণবঙ্গে। কলকাতার দিকে বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাসও নেই। তবে আগামী ১৯ তারিখ নাগাদ পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা আর উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ার এই পাঁচ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের ডিডিজিএম সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “সূর্যের উত্তরায়ণ শুরু হলে আমাদের ভূখণ্ডে বেশি পরিমাণে আলো আসে। ফলে দিনের বেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়বে। শীতের মরশুমের শুরুতে যেভাবে ভোরের দিকে এবং রাতের বেলায় পারদ খানিকটা কমে, এখন কয়েকদিন আবহাওয়া তেমনই থাকবে। তবে দক্ষিণবঙ্গের বৃষ্টির পূর্বাভাস না থাকলেও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে।” বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৪ ডিগ্রি। আর সর্বনিম্ন ১৪.৪। গত কয়েকদিনের তুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে পাঁচ থেকে ছ’ডিগ্রি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দু’ডিগ্রি বেড়েছে। তাই তাপমাত্রার নিরিখেই বোঝা যাচ্ছে দিনের তাপমাত্রা কতটা বাড়ছে। সে কারণেই দিনে মাত্রাতিরিক্ত গরম লাগছে মাঘের শুরুতেই।
এই ঠান্ডা গরমে জ্বর-সর্দিকাশি লেগেই রয়েছে ঘরে ঘরে। তাই চিকিৎসকরা সতর্ক থাকতে বলছেন সাধারণ মানুষকে। কিন্তু এমন ভ্যাপসা গরম হঠাৎ কেন? আবহাওয়া দপ্তরের কর্তারা জানাচ্ছেন, এর কারণ মূলত দু’টি। এক পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে উত্তুরে হাওয়া বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। ফলে শীতকালে যে ঠান্ডা হাওয়াটা থাকে, সেটা বইছে না। আর দ্বিতীয় সূর্যের উত্তরায়ণের কারণে আলো বেশি আসছে দিনের বেলায়। যে কারণে তাপমাত্রাও বাড়ছে বেশ ভালই। আগামী দিন তিনেক অন্তত পরিস্থিতি এরমই থাকবে। ঠান্ডা থাকবে ঠান্ডাঘরে। ১৯ তারিখ থেকে কলকাতার দিকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.