Advertisement
Advertisement
বুলবুল

বুলবুলের দাপট কাটলেই বঙ্গে দেখা মিলবে শীতের? জেনে নিন কী বলছে হাওয়া অফিস

এ রাজ্য থেকে বিদায় নিয়েছে বুলবুল।

MeT predicts temparature may decrease next some days
Published by: Sayani Sen
  • Posted:November 10, 2019 11:28 am
  • Updated:November 10, 2019 11:36 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্ধারিত পথে বাংলাদেশে চলে গিয়েছে বুলবুল। তবে এখনও এ রাজ্যে স্পষ্ট তাণ্ডবলীলার চিহ্ন। আপাতত কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলার আকাশের মুখভার। রবিবার বিকেল পর্যন্ত হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনাও এড়ানো যাচ্ছে না। তবে সন্ধের দিক থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে বলেই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। সোমবার দেখা মিলতে পারে রোদেরও। বুলবুলের প্রভাব কাটলেই তাপমাত্রার পারদ কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেই আবহাওয়া দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলেই মত আবহাওয়াবিদদের।

বুলবুলের দাপটে শনিবার সকাল থেকেই বদলাতে শুরু করেছিল আবহাওয়া। যতই গতি বাড়িয়ে বাংলার দিকে ধেয়ে আসতে থাকে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, ততই যেন পরিস্থিতি বদল হয়েছে বঙ্গের। শনিবার দিনভর কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যের ছবিটা ছিল একইরকম। একটানা বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় আমজনতাকে। সন্ধের পর থেকেই বাড়তে থাকে বুলবুলের দাপট। বাড়তে থাকে হাওয়ার গতিবেগ। রাতেও পরিস্থিতি ছিল একইরকম। যার জেরে ইতিমধ্যেই কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে বেশ কিছু জায়গায় গাছ ভেঙে পড়ে। বালিগঞ্জে গাছ ভেঙে মৃত্যু হয় এক যুবকেরও।

Advertisement

তবে রবিবার সকাল থেকে আবহাওয়ার বদল ঘটেছে। আকাশ মেঘলা রয়েছে। বৃষ্টি থেমে গিয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বিকেল পর্যন্ত কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। সন্ধের পর থেকে পরিবর্তন হবে আবহাওয়ার। সোমবার সকাল থেকে রোদের দেখা মিলতে পারে বলেই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।  এখন প্রশ্ন হল কবে দেখা মিলবে শীতের? সে বিষয়ে অবশ্য আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, বুলবুলের প্রভাব কাটলেই তাপমাত্রার পারদ কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেই আবহাওয়া দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলেই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। 

[আরও পড়ুন: ভাঙল কাঁচাবাড়ি-উড়ল স্টেশনের চাল, বুলবুলের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত সুন্দরবন]

ঘূর্ণিঝড় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন লাগোয়া এলাকার। বুলবুলের প্রভাব পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর এবং হাওড়ার প্রত্যন্ত এলাকাতেও। হিঙ্গলগঞ্জ, বসিরহাট, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রাজ্য সরকার রয়েছে বলে শনিবার রাতেই জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে কলকাতা পুলিশের ‘দুর্দান্ত’ ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চলবে। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে রাজ্য প্রশাসনের কাছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানানো হবে বলেই খবর।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement