Advertisement
Advertisement

Breaking News

বসন্তে ফের বৃষ্টির ভ্রুকুটি দক্ষিণবঙ্গে, দ্বার রুদ্ধ কালবৈশাখীর

পশ্চিমি ঝঞ্ঝাকেই দুষছেন আবহবিদরা।

Met predicts rain in Kolkata
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:March 14, 2019 9:50 am
  • Updated:March 14, 2019 9:50 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুরুতেই বাঝা রেল দখিনা বাতাস। শেষ ফাল্গুনের আকাশে ফের দানা বাঁধছে মেঘের ঘনঘটা। ভিলেন পশ্চিমি ঝঞ্ঝা। আজ বৃহস্পতিবার ও আগামিকাল শুক্রবার কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বর্জ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। বইতে পারে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। শনিবার কমতে পারে বৃষ্টি। কিন্তু রবিবার ফের নতুন করে আকাশ মেঘলা হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

বসন্তে অকালবর্ষণ যেন পিছু ছাড়ছে না। পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ও নিম্নচাপ অক্ষরেখার যুগলবন্দিতে ক’দিন আদেই বর্ষার আমেজ পুইয়েছে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ। যার হাত ধরে পাততাড়ি গুটিয়ে নেওয়া শীত ফের ডানা মেলেছিল। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দুই তাপমাত্রাই নেমে এসেছিল স্বাভাবিকের বেশ কয়েক ডিগ্রি নিচে। সব মিলিয়ে ওই ক’দিন পড়ে পাওয়া চোদ্দো আনার মতো শীতের আমেজ উপভোগ করেছে দক্ষিণবঙ্গবাসী। কিন্তু এর পরই বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত জোলো হাওয়া ঢুকিয়ে বাংলার ফুরফুরে বসন্তকে ঘেমো আবহাওয়ায় পরিণত করেছিল। মেঘের কারণে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দমে থাকলেও আর্দ্রতা বেড়ে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছিল শহর ও শহরতলির বাসিন্দাদের। গত কয়েকদিনের সেই আবহাওয়া থেকে দক্ষিণবঙ্গবাসীকে ক্ষণিক স্বস্তি দিতে পারে এই ঝড়-বৃষ্টি। “বৃষ্টির জেরে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় নামতে পারে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।”-কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের উপ-মহানির্দেশক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ, বীরভূমে আয়ুষ্মান ভারতের কার্ড বিলি ডাকঘরের ]

আবহবিদদের আশঙ্কা, ভিজে মার্চ তাপমাত্রার পায়ে বেড়ি পরালেও, আখেরে এতে দুর্ভোগের পারদই চড়বে। বৃহস্পতিবার বাকুড়া, পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বাদ যাবে না মহানগরও। কলকাতাতেও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানিয়েছেন, পশ্চিমি ঝঞ্ঝা এবং পুবালি হাওয়ার মধ্যে সংঘর্ষের জেরে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে বৃষ্টি ঘটাতে পারে। তবে ভারী বৃষ্টি নয়, হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন তিনি।

আবহবিদদের ব্যাখ্যা, এই পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাবে কালবৈশাখীর পথ বন্ধ হতে পারে। কারণ, রাঢ়বঙ্গ ঝাড়খণ্ডে তেমন গরম না পড়ায় বাতাস গরম হচ্ছে না। ফলে কালবৈশাখীও দানা বাঁধতে পারছে না। বস্তুত, মার্চে সাধারণত দু’টি কালবৈশাখী হয় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে আবহাওয়ার চরিত্রগত পরিবর্তনের প্রভাব সারা দেশেই পড়েছে। যেমন উত্তর ভারতে শীতের বিদায় পিছিয়ে গিয়েছে। যার ফলে মার্চের শুরুতে তেমন উষ্ণ হয়নি দক্ষিণবঙ্গ। আকাশ মেঘলা থাকায় বেশিরভাগ দিনই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করেছে স্বাভাবিকের নিচে। যদিও মেঘের কারণে হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

 [ বুনিয়াদপুরের হোটেলে মধুচক্র, আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ল যুগল ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement