ছবি: প্রতীকী
নব্যেন্দু হাজরা: বর্ষা বিদায় নিয়েছে দক্ষিণবঙ্গ থেকে। তবু যেন বৃষ্টি (Rain) পিছু ছাড়ছে না। শনিবার দুপুরের পর থেকেই মেঘলা আকাশ। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। যা চলতে পারে আজ রবিবারও।
করোনা কালে একেই পুজো নিয়ে নানা প্রশ্ন ছিল বাঙালির মনে। সেই সময় নিম্নচাপের ভ্রুকুটিও ছিল। তবে বাংলাদেশের দিকে অভিমুখ থাকায় এ যাত্রায় রক্ষা পায় দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি। কিন্তু ঠান্ডার ঠিক আগেই ফের কালো মেঘের সঞ্চার হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায়। শনিবার দুপুরের পর থেকেই কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনার বেশ কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির জেরেই দক্ষিণবঙ্গে রাতের দিকে কিছুটা তাপমাত্রাও কমে। অন্যদিকে মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে দক্ষিণ ও উত্তর-পূর্বের বেশ কয়েকটি রাজ্যে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, পুদুচেরি, তামিলনাড়ু ও কেরলে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া দপ্তর বলছে, এদিনের বৃষ্টি নিম্নচাপের জেরেই হয়েছে। এই নিম্নচাপের ফলেই নভেম্বরের শুরুতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনাও থাকবে।
নিয়ম অনুযায়ী, ১২ অক্টোবর নাগাদ কলকাতা থেকে বর্ষা (Monsoon) বিদায় নেওয়ার কথা। তবে এবারের বর্ষা বিদায় নিয়েছে অনেকটাই দেরিতে। ফলে প্রতিবছর অক্টোবরের মাঝামাঝি বঙ্গে উত্তরের শুকনো বাতাসের আনাগোনা শুরু হলেও এবার তা হয়নি। দিনকয়েক আগে পর্যন্তও রাতের তাপমাত্রা ২৫-২৬ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করছিল। যার অন্যতম কারণ সাগরে পর পর সৃষ্ট হওয়া নিম্নচাপ। তবে পুজোর মুখে নিম্নচাপ বাংলাদেশে সরে যাওয়ার পরই হাওয়াবদল হয়। কথাতেই আছে, দুর্গা ঠাকুর বিসর্জনের দিন থেকেই বাতাসে একটা হিমেল হওয়া অনুভূত হয়। চলতি বছরেও তাঁর অন্যথা হয়নি। ইতিমধ্যেই দক্ষিনবঙ্গে তা বইতে শুরু করেছে। রাতে এবং ভোরের দিকে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। তবে তা স্থায়ী নয়। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের ফলে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.