সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃষ্টির হাত থেকে এখনই রেহাই পাচ্ছে না বঙ্গবাসী। শোনা গিয়েছে, আরও তিনটি নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে। যার ফলে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে পারে বৃষ্টি।
রবিবার থেকে শুরু হয়েছে দুর্যোগ। একটানা বৃষ্টি হয়েই চলেছে। ইতিমধ্যেই কলকাতার একাধিক জায়গায় জল জমেছে। বিশেষ করে উত্তর কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি এলাকায়। গঙ্গার জলস্তরও বাড়তে শুরু করেছে। যার জেরে হাওড়ার একাধিক জায়গা জলমগ্ন। উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুর এলাকারও বেশ কিছু জায়গায় জল জমেছে।
সোমবার কলকাতা, প্রিন্সেপ ঘাটের মতো স্টেশনে রেললাইন জলে ডুবে যাওয়ায় ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল হয়েছে। অনেক ট্রেন দেরিতে চলেছে। যার ফলে নিত্যযাত্রীদের বেশ সমস্যা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃষ্টি একটু কম হলেও আকাশের মুখ ভার। এদিকে আবার বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে মঙ্গলবারও কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা বজায় রয়েছে। জেলার নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে থাকা বাসিন্দাদেরও সতর্ক করা হয়েছে।
হঠাৎ করে তৈরি হওয়া এই পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে নবান্নও (Nabanna)। কন্ট্রোল রুম থেকে জেলাগুলির সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এদিন সন্ধে পর্যন্ত নবান্ন সূত্রে খবর, প্রত্যেক জেলাশাসককে বিপর্যয় মোকাবিলার খরচ দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ৪৭টি ব্লক এবং আটটি পুরসভা জলমগ্ন রয়েছে। প্রায় ১৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৩২৮ জন মানুষ জলবন্দি রয়েছেন। এক লক্ষ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। ক্ষতি হয়েছে শস্য ও গবাদি পশুর।
জলমগ্ন জেলাগুলিতে ৫৭৭টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। সেখানে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ১ লক্ষ ৪১ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ৬০ হাজারের বেশি ত্রিপল বিলি করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার জন্য নবান্নে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যে কোনও সমস্যায় টোল ফ্রি নম্বর ১০৭০ তে যোগাযোগ করা যাবে বলে জানানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.