নব্যেন্দু হাজরা: বুধবার ভোররাতেই ঝড়বৃষ্টি হয়েছে কলকাতায়। ভোর তিনটে ৫৫ মিনিটে কালবৈশাখী হয় কলকাতায়। ঘণ্টায় গতিবেগ ছিল ৭১ কিলোমিটার। দক্ষিণ দিক থেকে আসা এই ঝড় কলকাতায় প্রায় তিন মিনিট স্থায়ী ছিল বলে জানানো হয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে। আগামী রবিবার পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে ঝড়বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি আরও বাড়বে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। পাশাপাশি আগামী কয়েকদিন ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাসও দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
দক্ষিণ আন্দামান সাগরের নিম্নচাপ আগামী চার দিন একই জায়গায় অবস্থান করবে। শক্তি সঞ্চয় করে অভিমুখ পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনাই দেখছেন না আবহাওয়াবিদরা। এই নিম্নচাপ থেকে আর কোনও আশঙ্কা থাকছে না ভবিষ্যতে। মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্ক বার্তা নেই।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার শীতল হাওয়ার সঙ্গে পূবালী গরম হওয়ার সংঘাতে আগামী কয়েকদিন রাজ্যজুড়ে ঝড়বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে। উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকে উত্তরের জেলাগুলিতেও ঝড়বৃষ্টির আরও বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে। অন্যদিকে, ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার-সহ কোচবিহারেও। কোথাও কোথাও আবার শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। ঝড়বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা। এই ঝড় বৃষ্টির প্রভাব চলবে রবিবার পর্যন্ত।
কলকাতার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচে নেমে গেল। বুধবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১.৮ ডিগ্রি । মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ ৫৩ থেকে ৯৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৪২.৬ মিলিমিটার। গ্রীষ্মে এবার বাংলার আবহাওয়া কিন্তু বেশ মনোরম। অন্যন্যবার যেরকম তীব্র দাবদাহের মধ্য দিয়ে যেতে হয়, এবার মে মাস পড়লেও সেরকম গরম এখনও সইতে হচ্ছে না কলকাতা-সহ রাজ্যবাসীকে। কিন্তু কেন? এপ্রসঙ্গে আবহবিদদের মত, এবার ঝড়বৃষ্টির জন্যই এমন অনুকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জলীয় বাষ্পের অফুরন্ত জোগান দিচ্ছে বঙ্গোপসাগর। ফলে বৈশাখে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের কোঠা ছুঁতেই পারছে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.