স্টাফ রিপোর্টার: পারদপতন আপাতত থমকে গেলেও যেটুকু রয়েছে, তাই বা কম কী? পৌষের সূচনাতেই শীতের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে তামাম বঙ্গ থরহরি কম্প। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১. ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পূর্বাভাস ছিল শুক্রবার তা ১০-এর কোঠায় নামতে পারে। যা কি না শৈত্যপ্রবাহের মুখে দাঁড় করিয়ে দেবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে। তবে কার্যক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। এদিন তাপমাত্রা সামান্য কমে হয়েছে ১১.৬ ডিগ্রি। শনিবার তা আরও এক কদম বেড়ে দাঁড়াল ১২ ডিগ্রিতে। কিন্তু গত পাঁচ বছরের ২১ ডিসেম্বরের আবহাওয়া খতিয়ান সামনে রাখলে দেখা যাচ্ছে, শৈত্যের নিরিখে ২০১৯-ই সবার আগে। শেষ এমন ঠান্ডা অনুভব করা গিয়েছিল ২০১৫ সালে। সে বছর ২১ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পৌষের শুরুতেই শীতের এমন দাপটে আশায় বুক বাঁধছে শহরবাসী। সে আশাতে জল ঢালছে না হাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, কপাল ভাল থাকলে, তেমন কোনও বড় নিম্নচাপ না এলে অনেক রেকর্ডই তছনছ করে দেবে উনিশের শীত। ঘরে ঘরে শীতের সঙ্গে লড়ার শিরস্ত্রাণ বের করার পালা শুরু হয়েছে। এতদিন যাঁরা পাতলা চাদরেই কাজ চালিয়ে নিচ্ছিলেন, তড়িঘড়ি লেপ, কম্বল, বালাপোশ নামিয়ে নিয়েছেন তাঁরা। ভিড় বাড়ছে ওয়েলিংটনে ভুটিয়াদের বাজারেও। গরম কাপড় বিক্রেতারা বেজায় খুশি হাড় কাঁপানো শীতে। এদিকে হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। এদিন শ্রীনিকেতনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আসানসোলের তাপমাত্রাও নেমে গিয়েছিল ১০-এর নিচে। শিল্পাঞ্চলের তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাঢ়মাটির দেশ বাঁকুড়ার তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শৈলশহর দার্জিলিংয়ে শুক্রবারে তাপমাত্রা ছিল ৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নাক-কান- ঢেকে ম্যালে আগুন পুহিয়েছেন পর্যটকরা। সামান্য দেরিতে ডিসেম্বরের মাঝে শীতবুড়ো এলেও এমন হাড়হিম ঠান্ডায় বেজায় খুশি পর্যটকরা। এদিকে, খোলা আকাশের নিচে ঠান্ডায় জমে কোচবিহারে মৃত্যুও হয়েছে একজনের। মৃতের নাম রঞ্জিত দাস (৫০)। তিনি হাসপাতাল চত্বরে থাকতেন।
শনি-রবিতে তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও, বড়দিন কাটিয়ে ফের চওড়া হতে পারে শীতের ছাতি। দ্বিতীয় পর্যায়ে কলকাতাতেও নামবে পারদ ৷ ইতিমধ্যেই রাজ্যের ১১ জেলায় শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তার মধ্যে রয়েছে কলকাতা-সহ দুই ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.