রিংকি দাস ভট্টাচার্য: সাড়া জাগিয়ে ইনিংস শুরু করেও ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে রিটায়ার্ড হার্ট হতে চলেছে বঙ্গের শীত। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে এমন আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, রবিবার পর্যন্ত তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন না হলেও আগামী সপ্তাহের শুরুতেই ফের ধাক্কা খাবে শীত। সাগর থেকে পুবালি হাওয়া ঢুকে পড়ার জেরে পারদ চড়বে। বৃষ্টির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
হঠাৎ এই উলটপুরাণ? কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের উপমহানির্দেশক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার বলেন, ‘‘রবিবার নাগাদ ভারত মহাসাগরের নিরক্ষীয় এলাকায় একটি নিম্নচাপ দানা বাঁধার বিলক্ষণ সম্ভাবনা। তার জেরে সাগর থেকে জোলো হাওয়া ঢুকবে। বাধা পাবে উত্তুরে হাওয়া। ফলে মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।’’ আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, নিম্নচাপ দানা বাঁধার পরে তামিলনাড়ুর দিকে যেতে পারে। সঞ্জীববাবুর কথায়, মেঘ থাকলে দিনের তাপমাত্রা বেরিয়ে যেতে পারবে না, ফলে বাড়বে তাপমাত্রা। তবে নিম্নচাপটি স্থলভাগে ঢুকে পড়লে উত্তুরে হাওয়ার পথ ফের সুগম হবে।
শনিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। যা এই সময়ের স্বাভাবিক। একই সঙ্গে এটি চলতি মরশুমে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। জেলাগুলিতেও ভালই মালুম হচ্ছে শীত। শুক্রবার পুরুলিয়ার তাপমাত্রা নেমে আসে ১০-এর ঘরে। যদিও এই পারাপতনের ছন্দ নষ্ট হতে পারে সপ্তাহের শুরুতেই। বস্তুত, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এমনিতেই ঘূর্ণিঝড়ের মরশুম। তাই একের পর এক নিম্নচাপ স্বাভাবিক ঘটনা। এই ধরনের নিম্নচাপ পূর্ব উপকূলের দিকে সরে এলে ঠান্ডার ছন্দটা নষ্ট হয়। ফলে ডিসেম্বরের একটা বড় সময় অবধি থিতু হতে পারে না ঠান্ডা। আসলে শীত নির্ভর করে উত্তুরে হাওয়ার উপর। উত্তুরে হাওয়ার গতি যত বাড়বে রাজ্যে শীতের দাপটও তত বাড়বে৷ তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় নিম্নচাপ বা ঘূর্ণাবর্তের জন্য বিপরীত বায়ুপ্রবাহের জেরে বন্ধ হয় উত্তুরে হাওয়ার পথ। সমুদ্র থেকে গরম হাওয়া ঢুকে পড়ে স্থলভাগে। ফলে উত্তাপ বাড়তে থাকে৷ গত কয়েকদিনে দক্ষিণবঙ্গের শীতের ক্ষেত্রে এমনটাই ঘটতে পারে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.